দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটল তৃণমূলে, এবার ওপেনার আউট বলে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
তৃণমূলের উইকেটের পতন ঘটছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দু-দুজন সাংসদ গ্রেফতার হলেন। আর শেষে যে উইকেট-টা পড়ল, সেটা তো ওপেনারের উইকেট।
কলকাতা, ৩ জানুয়ারি : তৃণমূলের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটল মঙ্গলবার। রোজভ্যালিকাণ্ডে সুদীপের গ্রেফতারিকে টিমের ওপেনার আউট হওয়ার সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু বলেন, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর তৃণমূল যা করছে, সেটাকেই প্রতিহিংসা বলে। যে কারণে তৃণমূল সাংসদরা গ্রেফতার হচ্ছেন, তা কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়। এদিন বিজেপি অফিস হামলার পর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা।
দিলীপবাবু এদিন বলেন, সারদা ও রোজভ্যালিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একাধিক সাংসদ-মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। একটার পর একটা উইকেট পড়তে শুরু করেছিল। আবারও তৃণমূলের উইকেটের পতন ঘটছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দু-দুজন সাংসদ গ্রেফতার হলেন। আর শেষে যে উইকেট-টা পড়ল, সেটা তো ওপেনারের উইকেট।
তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা যে চিটফান্ড দুর্নীতিতে যুক্ত সেই অভিযোগ প্রথম থেকে করে আসছে বিজেপি। এখনও সেই দাবিতে অনড় বিজেপি। বিজেপি যে সত্যি দাবি করেছিল, তা প্রমাণিত হচ্ছে রোজভ্যালি কাণ্ডে পর পর দু'জন গ্রেফতার হওয়ার পর।
দিলীপবাবু বলেন, তাপস পাল তো দলের ইলেভনথ ব্যাটসম্যান ছিলেন। এবার যিনি গ্রেফতার হলেন লোকসভার দলনেতা। একজন ওপেনার। এবার সিবিআই আর কাউকে ছাড়বে না। তৃণমূলের সবক'টি উইকেট পড়বে। এবার অলআউট হয়ে যাবে। বাংলার রাজনীতি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন গেলই গ্রেফতার হবেন, সেই কারণেই সিবিআই দফতরে যেতে চাইছিলেন না, টালবাহানা করছিলেন।
আর গ্রেফতার হওয়ার পর যা করছে তৃণমূল, তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। আমরা এর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামব।