৫ ছাত্র সাসপেন্ড, সতর্ক করা হল ১৭ জনকে, কঠোর স্কটিশ চার্চ কলেজ কর্তৃপক্ষ
কলকাতা,
৪
অক্টোবর
:
পাঁচ
ছাত্রকে
সাসপেন্ড
করল
স্কটিশচার্চ
কলেজ
কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার
কলেজের
গভর্নিং
বডির
মিটিংয়ে
পাঁচ
ছাত্রকে
এক
বছরের
জন্য
সাসপেন্ডের
সিদ্ধান্ত
গৃহীত
হয়।
ছাত্র
বিক্ষোভের
জেরে
পাঁচ
ছাত্রকে
সাসপেন্ডের
পাশাপাশি
১৭
জনকে
সতর্কও
করা
হয়েছে।
কলেজ
কর্তৃপক্ষের
তরফে
মঙ্গলবার
বিকেলেই
এই
সিদ্ধান্ত
জানিয়ে
দেওয়া
হয়।
কলেজ
কর্তৃপক্ষ
জানায়,
পাঁচ
সাসপেন্ডেড
ছাত্রের
মধ্যে
রয়েছে
প্রথম
বর্ষের
দু'জন
ও
দ্বিতীয়
বর্ষের
তিনজন।
এমনকী
ইউনিয়নের
তিনজন
সদস্যও
রয়েছে
সাসপেন্ডের
তালিকায়।
এদের
মধ্যে
একজন
হল
সংসদের
এজিএস,
একজন
ভাইস
প্রেসিডেন্ট
ও
অন্যজন
কালচারাল
সেক্রেটারি।
[ছাত্র
বিক্ষোভের
জেরে
অনির্দিষ্টকালের
জন্য
বন্ধ
স্কটিশচার্চ
কলেজ]
উল্লেখ্য,
শিক্ষামন্ত্রীর
হস্তক্ষেপে
আজ,
মঙ্গলবারই
কলেজ
খোলা
হয়।
সোমবার
জরুরি
মিটিংয়ের
পর
জানিয়ে
দেওয়া
হয়েছিল
মঙ্গলবার
কলেজ
খুলবে,
বুধবার
পঠনপাঠন
শুরু
হবে।
ওইদিনই
কলেজ
হয়ে
ছুটি
পড়ে
যাবে
পুজোর।
কিন্তু
তার
আগে
যে
এমন
কঠোর
সিদ্ধান্ত
নিতে
চলেছে
কলেজ
কর্তৃপক্ষ,
তা
বোঝা
যায়নি
আগাম।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাবই পোষণ করল। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ছাত্র বিক্ষোভের আগে ছাত্ররা বা ইউনিয়ন দু'বার ভাবে, সে জন্যই এই বার্তা দেওয়া হল। এদিকে, ছাত্রদের সাসপেন্ড করায় খানিক নমনীয় ছাত্র সংগঠন। তারা ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য ছাত্র বিক্ষোভের জেরে কলেজ গেটে নোটিশ ঝুলিয়ে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তারপরই শিক্ষা দফতর নড়েচড়ে বসে। অবিলম্বে কলেজ খুলতে মিটিং ডাকতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীর ধমকের পর তড়িঘড়ি মিটিং ডেকে কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিনই আবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে দিল, কোনওভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বিক্ষোভ, অচলাবস্থা তৈরি বরদাস্ত করা হবে না।