সুদীপের সঙ্গে দেখা টিম পার্থর, ব্রাত্যই রইলেন তাপস পাল
কেন তৃণমূলের সদস্যরা দলেরর এই অভিনেতা সাংসদের সঙ্গে দেখা করলেন না ভুবনেশ্বরে গিয়েও? সেই প্রশ্নই উঠে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন তাপস পাল ব্রাত্য? তবে কি তাপসকে দল থেকে ছেঁটে ফলতে চাইছে তৃণমূল?
কলকাতা, ৯ জানুয়ারি : রোজভ্যালি কাণ্ডে দলের হেভিওয়েট নেতা লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভে তোলপাড় রাজ্য। রাজ্য ছাড়িয়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে দিল্লি-সহ ভিনরাজ্যেও। এরই মধ্যে তৃণমূলের লোকসভা দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে ভুবনেশ্বরে পাড়ি দিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা সুদীপবাবুর সঙ্গে দেড়ঘণ্টা কথা বললেও, তাপস পাল রইলেন ব্রাত্যের তালিকায়।
কেন তৃণমূলের সদস্যরা দলেরর এই অভিনেতা সাংসদের সঙ্গে দেখা করলেন না ভুবনেশ্বরে গিয়েও? সেই প্রশ্নই উঠে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন তাপস পাল ব্রাত্য? তবে কি তাপসকে দল থেকে ছেঁটে ফলতে চাইছে তৃণমূল? নাকি তাপস থাকল কি গেল, তাতে কী আসে যায় তৃণমূলের! এই মনোভাবেই কি তৃণমূল প্রতিনিধিরা আর তাপস পালের বেডমুখো হলেন না?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়-রা যখন ভুবনেশ্বরে সিবিআই অফিসে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত, তখন তাপস পাল শুয়ে রয়েছে ভুবনেশ্বরের জেল হাসপাতালে। মাত্র কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধান। অথচ তৃণমূল কংগ্রেস দুই নেতার মধ্যে রচনা করে ফেলল শত যোজনের দূরত্ব। তা কেন? দু'জনেই তো তৃণমূলের সাংসদ। দু'জন গ্রেফতার হওয়াতেই কালি ছিটিয়েছে তৃণমূলের নীল-সাদা জার্সিতে। তাহলে এই তফাৎ গড়ে কী বোঝাতে চাইলেন পার্থরা?
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা ভুবনেশ্বরে নেমেই সটান চলে যান সিবিআই দফতরে। আগেই সিবিআইয়ের অনুমোদন নেওয়া ছিল। কিন্তু তৃণমূলের তরফ থেকে তাপস পালের সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও চাওয়া হয়নি সিবিআইয়ের কাছে। ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ যাই হোক, এখন রোজভ্যালি কাণ্ডে দুই সাংসদকে নিয়ে অবস্থানগত বিভেদ বজায় রাখল তৃণমূল। দুই নেতার প্রতি দলের দৃষ্টিভঙ্গি পৃথকই। সুদীপকে নিয়ে যা ভাবনা, তাপসেক নিয়ে সেইরকম ভাবনা নেই তাপসের।