বিজেপির বসিরহাট অভিযান আটকে গেল দমদমেই, গ্রেফতার রূপা-লকেট
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করেছিলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় কেউ যাবেন না।
প্রশাসনের নিষেধ সত্ত্বেও বসিরহাটের সন্ত্রস্ত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করায় গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবার রূপা-লকেটসহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বকেও গ্রেফতার করে মাইকেল নগর থানার পুলিশ। এডিজি আইনশৃঙ্খলা তাঁদের বারবার নিষেধ করেছিলেন বসিরহাটে যেতে। কারণ এই মুহূর্তে এলাকায় গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।[আরও পড়ুন: বসিরহাটমুখী বিরোধীরা, মাঝপথে বাম-কং-বিজেপির কনভয় আটকে দিল পুলিশ]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করেছিলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় কেউ যাবেন না। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস থেকে শুরু করে সিপিএম তথা বাম নেতৃত্ব এবং বিজেপিও এদিন বসিরহাটে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে নানা কর্মসূচি নেয়।
সেইমতো বসিরহাটে ঢোকার আগেই অশোকনগর ও দেগঙ্গায় বামেদের প্রতিনিধিদলকে আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপ নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল বসিরহাট যাওয়ার চেষ্টা করে। দমদমের মাইকেল নগরেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। তা সত্ত্বেও রূপা ও লকেটের নেতৃত্বে ব বিজেপি প্রতিনিধিরা এগনোর চেষ্টা করে। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও বিজেপি প্রতিনিধিরা প্রশাসনকে অগ্রাহ্য করে এগোতে চাইলে গ্রেফতার করা হয় রূপা-লকেটসহ বিজেপি নেতৃত্বকে।
এদিন অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বেও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল 'বসিরহাট চলো' কর্মসূচি নেয়। কিন্তু তাঁদের অভিযানও পুলিশি বাধায় থমকে যায়। বারাসতে আটকানো হয় কংগ্রেসকে।এদিকে বসিরহাট নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। তাঁরা কোনও রিপোর্ট দেয়নি বলে অভিযোগ। বাহিনী নিয়েও রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে পাঁচদিন ধরে গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত বাদুড়িয়া-সহ বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। এরই মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন জনা ২৫। বহু বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়েছে গাড়িতেও। থমথমে বসিরহাট। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও আধা সামরিকবাহিনী।