শীতের রাতে শিশির মাথায় রেল লাইনেই আশ্রয়, ঠাঁই দিতে উদ্যোগ কাউন্সিলরের
শীতের রাতে শিশির মাথায় রেল লাইনেই আশ্রয় নিয়েছেন সুভাষ কলোনির গৃহহীন ঝুপড়িবাসীরা। গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুন তাঁদের মাথার উপর থেকে ছাদটুকুও কেড়ে নিয়েছে।
কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর : শীতের রাতে শিশির মাথায় রেল লাইনেই আশ্রয় নিয়েছেন সুভাষ কলোনির গৃহহীন ঝুপড়িবাসীরা। গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুন তাঁদের মাথার উপর থেকে ছাদটুকুও কেড়ে নিয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে যেটুকু রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে, সেটুকু নিয়ে রেল লাইনে বসে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া মাথা গোঁজবার ঠাঁইটুকুর দিকে। তাঁরা জানেন না, কী হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ।
সবাই-ই তখন ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ আগুন-আগুন চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরের আওয়াজ আর ভিতরের আর্তনাদ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তাই হয়তো প্রিয়া ও নিমাইয়ের আর্তনাদ কেউ শুনেই পাননি। কিংবা শুনতে পেলেও উপায় ছিল না তাঁদের উদ্ধারের। অনেকেই কোনওরকমে ঘুমের ঘোরে বেরিয়ে আসতে সম্ভবপর হয় 'জতুগৃহ' ঝুপড়ি থেকে। এরই মধ্যে যতটুকু রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে, সেটুকু নিয়েই আশ্রয় নিয়েছেন রেল লাইনে। শিয়ালদহ উত্তর শাখার রেললাইনেই এখন অস্থায়ী আশ্রয় তাঁদের।
সকালেই স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তনু সেন ঘটনাস্থলে যান। তিনি আশ্বাস দেন, গৃহহীন ঝুপড়িবাসীদের মাথা গোঁজবার একটা ঠাঁই আগে করে দিতে হবে। তাঁরা যাতে কিছু খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে তার একটা বন্দোবস্ত করতে হবে।
আমি এ প্রসঙ্কে পুরসভা ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্য সরকার ও পুরসভার উদ্যোগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গৃহহীনদের একটা মাথা গোঁজবার ঠাঁই হবে শীঘ্রই। আপাতত তাঁদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।