ফের শহরে অটোর বলি, ছ’নম্বর জাতীয় সড়কেও বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে মৃত ১
কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর : শহরে ফের অটোর বলি হলেন এক যাত্রী। এবার অটো-দৌরাত্ম্যের ছবি ধরা পড়ল সল্টলেকের সিটি সেন্টার। ক্রমেই বিভীষিকা হয়ে উঠছে অটো। সমানে চলছে নিয়ম ভাঙার খেলা। বালাই নেই সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভের। মঙ্গলবার দুর্ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সকালে সল্টলেকের সিটি সেন্টার এলাকায়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। [বেপরোয়া অটোর ধাক্কা চলন্ত বাসে, গৌরীবাড়িতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলেজ ছাত্রীর]
চারদিন আগে উল্টোডাঙার খান্না মোড়ে বেপরোয়া অটোর বলি হয়েছিলেন কলেজ ছাত্রী পূজা পাল। আবারও অটোচালকের বেপরোয়া মনোভাবের জেরে বাসের সঙ্গে রেষারেষিতে ঘটে গেল দুর্ঘটনা। সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে উল্টোডাঙার দিকে যাচ্ছিল অটোটি। উল্টোডাঙাগামী একটি বাসের সঙ্গে সমানে রেষারেষি করে আসছিল অটোটি। সিটি সেন্টারের কাছে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ছোট চাকার ওই যানটি। অটোটিতে পাঁচজন যাত্রী ছিল। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি চারজন চিকিৎসাধীন। [বেপরোয়া অটোচালকদের দৌরাত্ম্য, এখন মন্ত্রীকেও নিয়ম শেখাচ্ছেন চালকরা!]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অটো-দৌরাত্ম্যের শিকার হয়েছেন খোদ মন্ত্রীই। তারপর হোমগার্ড, ট্রাফিক সার্জেন্টও রেহাই পাননি। সোমবার এই মর্মে অটো ইউনিয়নগুলি একটি বৈঠক করে অটোচালকদের সঙ্গে। সেখানে বেপরোয়া ড্রাইভিং-এর রাশ টানা হয়। তারপরও দুর্ঘটনা ঘটছে। সমানে চলছে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা, ট্রাফিক আইন ভাঙা, রেষারেষি।
অন্যদিকে, সোমবার ছ'নম্বর জাতীয় সড়কে দিঘা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে পর্যটকদের একটি গাড়ি। গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে। ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার পীরতলার কাছে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান একজন। বাকি চারজনকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চালক বা যাত্রীরা স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। সেই কারণেই দুর্ঘটনা এড়াতে পারেননি তাঁরা।
সরকারি নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও শুধু বিশৃঙ্খলতার জেরে দুর্ঘটনা কাড়ছে একটার পর একটা প্রাণ। মানুষ একটু সচেতন হলেই যে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়, এই সত্যটাই বেপরোয়া জীবনযাপনে ভুলে যাচ্ছেন অনেকে। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, তাই যতই নিয়মের বেড়াজাল তৈরি করা হোক, মানুষ সচেতন না হলে দুর্ঘটনার এই বাড়বাড়ন্ত থেকে রেহাই মিলবে না।