রানাঘাট ধর্ষণ কাণ্ড : ২ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি
কলকাতা, ২৬ মার্চ : ঘটনার ১১ দিনের মাথায় অবশেষে রানাঘাট সিস্টার ধর্ষণ কাণ্ডে সাফল্যের মুখ দেখল সিআইডি।
রানাঘাটে গণধর্ষণ কাণ্ড : সংবাদমাধ্যমের সাহায্য চাইল প্রশাসন
রানাঘাট সিস্টার ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
সিস্টার ধর্ষণ কাণ্ড : রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হল মহম্মদ সেলিম নামে একজন দুষ্কৃতীকে। তাকে জেরা করে কলকাতা থেকে গোপাল সরকার নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই ব্যক্তিই মূল ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল সেলিম ও গোপাল। সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের ছবি রয়েছে বলে দাবি করেছে সিআইডি। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরেই মহম্মদ সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রানাঘাটের হাঙনাপুরের ওই কনভেন্ট স্কুলে ঘটনার দিন গভীব রাতে যে ৪-৫ জনের দুষ্কৃতীদল লুঠপাট ও হামলা চালায় সেলিম তাঁদেরই একজন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ঠিক কোন পরিপ্রেক্ষিতে লুঠপাট চালানোর পর বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করা হল সে বিষয়টিতেই তদন্ত চলবে।
সাত জন মূল অভিযুক্তের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়ে গেল সিআইডির। এই দুজনকে জেরা করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসতে পারে বলে মনে করছেন সিআইডি আধিকারিকরা। কনভেন্ট স্কুলের দ্বাররক্ষীকে জেরা করে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে সিআইডির। তা সামনে রেখেই তদন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে।
২০ মার্চ রাতে রানাঘাটের ওই কনভেন্ট স্কুলে পাঁচিল টপকে ঢুকে লুঠ চালানোর পাশাপাশি, স্কুলের সত্তরোর্ধ্ব সিস্টারকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা।
সেদিনের ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা অধরা থাকায় ও সিআইডি তদন্তে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় চাপের মুখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।