সারদা: তৃণমূলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও 'সিল' করার দাবি বিজেপির
রবিবার বিজেপি রাজ্য দফতরের একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন রাহুলবাবু। গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি কর্মীসভায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস, নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ থেকে শুরু করে সিবিআই, সবাইকে বিঁধেছেন। এমনকী, 'কে তুমি শালা' বলেও সম্বোধন করেছেন। এর জবাব দিতে এ দিন বিজেপির তরফে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। রাহুলবাবু বলেন, "কী ভাষা! এটা একজন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন? এই বাংলার সংস্কৃতি? যা দেখছি, এর পরও উনি আমাদের এর বাচ্চা, তার বাচ্চা ইত্যাদি বলে সম্বোধন করবেন। আসলে মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে এমন হয়। সারদা মামলায় চাপে পড়ে ওঁর সেটাই হয়েছে।"
সৃঞ্জয় বসু গ্রেফতার হওয়ার পরও মমতা তাঁকে সমর্থন করায় রাহুল সিনহা বলেন, "কুণাল ঘোষের পাশে উনি ছিলেন না। এখন সে লাগাতার তোপ দাগছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভয় হচ্ছে যে, সৃঞ্জয় বসুও হয়তো মুখ খুলবে আর উনি বিপদে পড়বেন। তাই তড়িঘড়ি উনি পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।"
তিনি বলেছেন, "তৃণমূল কংগ্রেস হল এমন একটি দল, যার নীচ থেকে ওপরতলা পর্যন্ত ডুবে রয়েছে সারদার টাকায়। সারদার কোটি কোটি টাকা গিয়েছে তৃণমূলের দলীয় অ্যাকাউন্টে। যদি সারদার টাকা নেওয়ার কারণে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল হয়, তা হলে তৃণমূলের অ্যাকাউন্টও সিল করা হোক। যা দেখছি, তাতে তৃণমূল দলটা এর পর জেলখানায় বসে কর্মীসভা করবে।"
সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করছে বলে দাবি করে রাহুল সিনহা বলেন, "এই তদন্ত নাকি আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ করাচ্ছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। আপনি বোধ হয় ভুলে গিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। বিজেপির এখানে কোনও ভূমিকা নেই। আপনার যদি মনে হয়, অমিত শাহ তদন্তকে প্রভাবিত করছে, তা হলে সুপ্রিম কোর্টে যান। সেখানে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে নালিশ করুন। কর্মীসভায় চেঁচিয়ে কী লাভ? আসলে আপনি ভুলভাল বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন।"