পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে ‘তরজা’ অব্যাহত হাইকোর্টে, সরকারি আইনজীবীর জবাবে হাসির রোল
পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে ‘তরজা’ অব্যাহত হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির প্রশ্নবাণের মুখে সরকারি আইনজীবী জবাব হাস্যকর জবাব। তা নিয়ে হাসির রোল আদালত চত্বরে।
কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি : পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে 'তরজা' অব্যাহত হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির প্রশ্নবাণের মুখে সরকারি আইনজীবী জবাব হাস্যকর জবাব। তা নিয়ে হাসির রোল আদালত চত্বরে। পুলিশের এত ভুঁড়ি কেন, সেই প্রশ্নের জবাব মিলল না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্র ও বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ দু'সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল।[পুলিশ, তোমার এত ভুঁড়ি কেন? ভুঁড়ি কমাতে গাইডলাইন তৈরি করে দেবে হাইকোর্ট]
এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়ে হাজির ছিলেন আদালতে। তাঁর সামনেই সরকারি আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, পুলিশের কেন ভুঁড়ি থাকবে? উত্তরে সরকারি আইনজীবী জানান, মামলকারী কমল দে-রও ভুঁড়ি রয়েছে। হাইকোর্ট পাল্টা বলেন, উনি একজন সাধারণ মানুষ, ওনার সঙ্গে কেন পুলিশের ভুঁড়ির তুলনা? পুলিশের ভুঁড়ি নেয় সোজা সাপ্টা উত্তর দিতে বলেন প্রধান বিচারপতি।
তখন সরকারি আইনজীবী জানান, বয়ের ভারে পুলিশের ভুঁড়ি বেড়ে গিয়েছে। ৪৬ বছর বয়সীদের ছুটোছুটি করতে হয় না আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। তারা পদোন্নতি পেয়ে অন্য কাজ করেন। সরকারি আইনজীবীর এই বক্তব্যে অবাক প্রধান বিচারপতি জানতে চান, তাহলে কি ৪৬ বছরের পর পুলিশ শুধু ইনডোর ডিউটিই করেন?
অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি এরপর বলে ওঠেন, সাম্প্রতিক সময়ের অপরাধ কি তাহলে পুলিশকে ভাবায় না? দেখুন এই হাইকোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসাররা কেমন ভুঁড়ি নিয়ে বসে আছেন। পুলিশের চাকরি পেয়ে যাওয়ার পর সেভাবে আর শারীরিক কসরত করা হয় না। শুধু কি বছরে একবার চেক আপ করালেই হবে। নিত্য শারীরিক চর্চা করার দরকার।
উল্লখ্য পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। জনৈক কমল দে সেই মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, একজন পুলিশ চাকরি পাওয়ার সময় যেভাবে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দেয়, চাকরি পাওয়ার পর আর তার লেশমাত্র চর্চা রাখে না। ফলে কিছু সময়ের মধ্যে ছিপছিপে গড়নের সক্ষম পুলিশের ভুঁড়ি বেড়ে যায়। বিশাল চেহারা নিয়ে নড়তে পারে না অধিকাংশ পুলিশ। তবু তারা চাকরিতে বহাল থাকে।