বাংলায় কবে নামবে বৃষ্টি? হাওয়া অফিসের ভবিষ্যদ্বাণী কী বলছে
বৃষ্টির ক্ষীণ সম্ভাবনার কথা জানালেও এখনই যে স্বস্তি মিলবে না বঙ্গবাসীর তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গোনা চললেও নিরাশার ছবিই ক্রমশ প্রকট হচ্ছে।
হাঁসফাঁস গরম থেকে মুক্তির কোনও লক্ষণই নেই। মঙ্গলবার বৃষ্টির ক্ষীণ সম্ভাবনার কথা জানালেও এখনই যে স্বস্তি মিলবে না বঙ্গবাসীর তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গোনা চললেও নিরাশার ছবিই ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। অস্বস্তি সূচক এখনই কমার কোনও সম্ভাবনাও নেই। রবিবার ৬৭ ডিগ্রি ছিল অস্বস্তিসূচক। সোমবারও তা বলবৎ থাকবে।
'মোরা'র প্রভাবে বাংলায় বর্ষা এগিয়ে আসতে পারে বলে এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। এখন আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে ৮-১০ জুনের আগে বর্ষা নামার কোনও সম্ভবনা নেই। কলকাতা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রির আশেপাশে থাকলেও, গরম অনুভূত হচ্ছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায়। আবদবিদরা জানিয়েছে, বর্ষা নামার আগে বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি থাকে। তার জেরেই অস্বস্তি বজায় থাকছে।
আবহবিদরা আরও জানান, ৩৭-৩৮ ডিগ্রি এমন কিছু বেশি নয়। কিন্তু সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রবিবার রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। সেটাই অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে। বৃষ্টি হলেও এই অস্বস্তিকর অবস্থা কাটবে না বলেই অভিমত আবহবিদদের।
সবথেকে করুণ অবস্থা বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির। সেখানে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহ চলছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে জলসংকট। বিদ্যুৎ বিভ্রাট তো লেগেই রয়েছে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিব্রত দক্ষিণবঙ্গবাসী। তাই বাংলাজুড়েই বৃষ্টির প্রতীক্ষায় প্রহর গোনা চলছে। কবে নামবে বৃষ্টি? চাতকের মতো সেদিকেই চেয়ে রয়েছেন বঙ্গবাসী।