মুখ্যমন্ত্রীর সংস্কারে দফতর কমলেও মন্ত্রী কমল না, ‘বেকার’ হলেন ১১ সচিব
দফতর কমালেও কোনও মন্ত্রীরই চাকরি যাচ্ছে না। ২১টি দফতর মিশিয়ে হচ্ছে ১০টি দফতর। তাই বাকি ১১টি দফতরের প্রধান সচিব ‘বেকার’ হয়ে পড়লেন।
কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর : দফতর কমালেও কোনও মন্ত্রীরই চাকরি যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজের গতি বাড়ানোর জন্য দফতর কমিয়েও নিশ্চয়তা দিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের। তবে দফতর কমে যাওয়ায় অনেক মন্ত্রীর দফতর রদবদল হল। সেইসঙ্গে রদবদল হবে সচিব পর্যায়েও। ২১টি দফতর মিশিয়ে হচ্ছে ১০টি দফতর। তাই বাকি ১১টি দফতরের প্রধান সচিব 'বেকার' হয়ে পড়লেন। তাঁদের কীভাবে কাজে লাগায় সরকার, তাই এখন প্রশ্ন।
ই-গভর্ন্যান্সকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে ই-গভর্ন্যান্স নামে নতুন একটি বিভাগ তৈরি করা হয়েছে। এই বিভাগকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের সঙ্গে। নতুন এই দফতরের নাম দেওয়া হয়েছে 'পার অ্যান্ড ই-গভর্ন্যান্স'। এই দফতরটি মুখ্যমন্ত্রী নিজের অধীনে রেখেছেন।
ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দফতরের অধীন ডিরেক্টরেট অফ সেরিকালচারকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কৃষি দফতরের সঙ্গে। দায়িত্বে পূর্ণেন্দু বসু। পার্বত্য বিষয়ক দফতরকে আনা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই থাকছে এই দফতর। মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরকে। মন্ত্রী থাকছেন অরূপ বিশ্বাস। ভূমি রাজস্ব দফতরের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে পুনর্বাসন দফতর।
মুখমন্ত্রী নিজের হাতে নিলেন এই দফতর। অবনী জোয়ারদার অসুস্থ হয়ে পড়ায় এই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নারী সমাজকল্যাণ ও শিশু কল্যাণ দফতর মিশিয়ে দেওয়া হল। দায়িত্বে সেই শশী পাঁজাই। তেমনই বিপর্যয় মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরকে মিশিয়ে দেওয়া হল। দায়িত্বে থাকলেন জাভেদ খান।
উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত করা হল বিজ্ঞান কারিগরি ও বায়ো টেকনোলজিকে। পুরোটাই চলে এল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। ওই দুটি দফতর দেখতেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মিশিয়ে দেওয়া হল পুর দফতর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে। দায়িত্বে থাকলেন ফিরহাদ হাকিমই। পরিকল্পনা-পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ন দু'টি দফতর মিশিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুল্ক দফতর মিশে গেল অর্থ দফতরের সঙ্গে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রয়ত্ত ও শিল্প পুনর্গঠন দফতর মিশে গেল শিল্প-বাণিজ্য দফতরের সঙ্গে। এই দফতরের নাম হল লার্জ ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ। দায়িত্বে অমিত মিত্রই।
ফলে মন্ত্রিত্বে দু-একটা ক্ষেত্রে রদবদল হল শুধু। বেশিরভাগই রইল একই হতে। শুধু রূপ পরবির্তন হল, পরিবর্তন হল নামের। আর দফতর কমে যাওয়ায় সচিবরা 'বেকার' হয়ে পড়লেন। তাঁদের অন্যত্র ব্যবহার করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এই সংস্কারের ফলে কাজে গতি আসবে বলে ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি অমিতবাবু বলেন এর ফলে খরচও কমবে সরকারের।
ছিল |
হল |
দায়িত্বে |
ই-গভর্ন্যান্স,
কর্মীবর্গ
ও
প্রশাসনিক
সংস্কার |
পার
অ্যান্ড
ই-গভর্ন্যান্স' |
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় |
সেরিকালচার
ও
কৃষি |
কৃষি |
পূর্ণেন্দু
বসু |
পার্বত্য
বিষয়ক
দফতর
ও
স্বরাষ্ট্র |
স্বরাষ্ট্র
দফতর |
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় |
ক্রীড়া
ও
যুবকল্যাণ |
ক্রীড়া-যুবকল্যাণ | অরূপ বিশ্বাস |
ভূমি-রাজস্ব
ও
পুনর্বাসন |
ভূমি-রাজস্ব |
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় |
নারী
সমাজকল্যাণ
ও
শিশু
কল্যাণ |
নারী-শিশু
কল্যাণ |
শশী
পাঁজা
|
বিপর্যয়
মোকাবিলা
ও
অসামরিক
প্রতিরক্ষা |
বিপর্যয়
মোকাবিলা | জাভেদ খান |
শিক্ষা,
বিজ্ঞান-কারিগরি
ও
বায়ো
টেকনোলজি |
উচ্চশিক্ষা |
পার্থ
চট্টোপাধ্যায় |
পুর
ও
নগরোন্নয়ন |
পুর-নগরোন্নয়ন |
ফিরহাদ
হাকিম |
পরিকল্পনা-পরিসংখ্যান
ও
প্রকল্প
রূপায়ণ |
পরিকল্পনা-প্রকল্প |
আশিস
বন্দ্যোপাধ্যায় |
শুল্ক
ও
অর্থ |
অর্থ |
অমিত
মিত্র |
রাষ্ট্রয়ত্ত,
শিল্প
পুনর্গঠন
ও
শিল্প-বাণিজ্য |
শিল্প-বাণিজ্য |
অমিত
মিত্র |