বিনা চিকিৎসায় সিএমআরআইয়ে চার ঘণ্টা পড়ে থেকে মৃত্যু রোগীর, ধুন্ধুমার পরিজনদের
বিনা চিকিৎসায় রোগীকে চার ঘণ্টা ফেলে রাখার অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তারপরই রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড একবালপুরে।
কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি : বিনা চিকিৎসায় রোগীকে চার ঘণ্টা ফেলে রাখার অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তারপরই রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড একবালপুরে। সিএমআরআই হাসপাতালে ভাঙচুর চলল। মারধর করা হল কর্মীদের। এরপর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর বাড়ির আত্মীয়-স্বজনরা। বুধবার সকাল থেকে ডায়মন্ড হারবার রোডে বসে পড়েন আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় বাসিন্দারা।[দুর্ঘটনায় রক্তাক্ত কিশোর, সাহায্যে এগিয়ে না এসে ভিডিও তুলল পথচারীরা]
অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতিতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আগে টাকা জমা দিন, পরে চিকিৎসা- এই অমানবিকতার ফলেই বিনা চিকিৎসায় প্রায় চার ঘণ্টা পড়েছিল রোগী। তার ফলেই একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ঘটে রোগীনির। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধু টাকার লালসায় একটা প্রাণ কেড়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।[রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সক্রিয় দালাল চক্র, শঙ্কিত অধ্যক্ষও]
মঙ্গলবার একবালপুরের সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মুসকান বিবি নামে এক রোগিনীকে। তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অতি শীঘ্র অস্ত্রোপচার জরুরি। সেইমতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতেই এক লক্ষ টাকা জমা করতে বলেন রোগীর পরিবারের সদস্যদের। রোগীর পরিবারের দাবি, তাদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসা শুরু করা হোক। এখন আমরা ৪০ হাজার টাকা জমা দিচ্ছি. কাল সকালে বাকি টাকা দিয়ে দেব।[মৃতদেহের চোখ তুলে বিক্রি!]
কিন্তু সেই দাবি না মেনে প্রায় চার ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় রোগীকে। রাতেই ওই রোগিনীর মৃত্যু হয়। সকাল থেকেই তাণ্ডব শুরু করে রোগীর পরিজনরা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। কাউন্টারের কাচ চুরমার করে দেন তাঁরা। কম্পিউটার থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় হাসপাতাল কর্মীদের। ডায়মন্ড হারবার রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।[হাসপাতালের মর্গের বাইরে ছড়িয়ে ১৫ টি সদ্যোজাতের দেহ]