পাহাড় থেকে বাদুড়িয়া— বিদ্বেষে ইন্ধন বিজেপিরই, কর্মীদের রাস্তায় নামার ডাক পার্থর
পাহাড় জ্বালানো থেকে থেকে বাদুড়িয়ায় হিংসা ছড়ানো— ইন্ধন বিজেপিরই। প্রতিবাদে কর্মীদের রাস্তায় নামার ডাক দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পাহাড় সমস্যার পাশাপাশি বসিরহাটের হিংসা নিয়েও বিজেপিকে সতর্ক করলেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের মদতে বিজেপি এ রাজ্যে অতি সক্রিয় হয়ে ঝামেলা বাধানোর খেলা শুরু করেছে। এবার এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সে জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যজুড়ে মিটিং-মিছিলে সামিল হতে।
তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে রাস্তায় নেমে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে। কারণ শুধু বসিরহাটের হিংসায় উসকানিই নয়, রাজ্যব্যাপী ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ভাঙনের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। পাহাড়েও তারা অশান্তির মূলে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ইন্ধন দিয়ে পাহাড়ে অচলাবস্থা তৈরি করার পিছনে বিজেপিরই হাত রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। পার্থবাবু প্রশ্ন তোলেন, পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে, এই অবস্থায় পাহাড়ের সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া কোথায়?
এদিন তৃণমূল মহাসচিব বলেন, রাজ্যের প্রতি, রাজ্যের মানুষের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই অবস্থায় আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। রাজ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উত্তাপ ছড়ানো হচ্ছে। ধর্মীয় শুড়শুড়ি দিয়ে এলাকা সন্ত্রস্ত করে রাখার চক্রান্ত চলছে। তাই শান্তির পক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস রাস্তায় নামবে। রাস্তায় নেমেই তৃণমূল রাস্তা দেখাবে রাজ্যবাসীকে।
পার্থবাবু আরও বলেন, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নই হল বাংলার মূল সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতিতেই আঘাত করছে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল। ক্ষমতার মোহে এইসব করে চলেছে ওরা। রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতেই তাই আন্দোলনে নামার দাওয়াই দিলেন তিনি। তিনি এদিন কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশ দেন, জেলা, ব্লক ও অঞ্চল স্তরে রাস্তায় নামতে।
পাহাড় প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, 'আমরা কিছুতেই বাংলা ভাগ হতে দেব না। পাহাড়ের মানুষের উপর অত্যাচারও সহ্য করব না। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হবে শীঘ্রই। কিছু মুষ্টিমেয় লোকের জন্য পাহাড়ের মানুষ কষ্ট পাবে দিনের পর দিন তা আর বরদাস্ত করা হবে না।' কিছু মানুষ বিদেশি শক্তিকে নিয়ে পাহাড়ে সংকট তৈরি করে চলেছেন, এই সময় পাহাড়ের সাংসদের কেন দেখা পাওয়া যাচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্নও তুলে দেন পার্থবাবু।