পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত নাসের ঘটনাস্থলেই ছিল না, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি কাদেরের
কলকাতা, ৩০ সেপ্টেম্বর : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত নাসের ঘটনাস্থলেই ছিল না। গোয়েন্দা জালে ধরা পড়ার পর চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি মূল অভিযুক্ত কাদের খানের। এই স্বীকারোক্তিতে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার রায় নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ল। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই দোষীসাব্যস্ত নাসেরের দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গোয়েন্দারা এখন খতিয়ে দেখছেন কাদেরের এই মন্তব্যের আদৌ কোনও সত্যতা রয়েছে কি না। নাকি তদন্ত প্রক্রিয়া অন্যদিকে ঘোরাতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাদের খান এ ধরনের মন্তব্য করছে।
উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০১৫-র ডিসেম্বরে পার্কস্ট্রিট মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। এই মামলায় তিনজনকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়। ঘোষণা হয় সাজাও। সাজাপ্রাপ্তরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে মামলা করে। সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন কাদেরের ওই মন্তব্যের পর মামলা কোন পথে এগোয় সেটাই দেখার।
গোয়েন্দা জেরায় ধৃত কাদের স্বীকার করেছে, ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনার তিনদিন পরই সে বিহারে পালিয়ে গিয়েছিল। সেখান একমাস থাকার পর নেপালে গা ঢাকা দেয়। তারপর ফের দেশে ফিরে মুম্বইয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করছিল সে। প্রথেম আলি তার সঙ্গে ছিল না। পরে তারা দু'জন একসঙ্গেই বাংলাদেশ যাত্রা করে। মুম্বইয়ে ওই বন্ধু তার বাড়িতে থাকা নিয়ে আপত্তি জানানোর পরই কোনও পথ না পেয়ে তাকে বাংলাদেশে চলে যেতে হয়েছিল বলে জানিয়েছে পার্কস্ট্রিটকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত।
বেশ কিছুদিন বাংলাদেশে কাটানোর পর কিছুদিন দুবাইয়েও গা ঢাকা দিয়েছিল কাদের ও আলি। আবার আলিকে নিয়ে কাদের ফিরে আসে বাংলাদেশে। এরই মধ্যে হাতের সমস্ত টাকা শেষ হয়ে যায়। উপায় না থেকে টাকার অভাবে সে যোগাযোগের চেষ্টা করে এক আত্মীয়ের সঙ্গে। তারপর দিল্লিতে ফিরে এসে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। কিন্তু ওই ফোনটিই যে তার কাল হয়েছে, সে কথা বুঝে উঠতে পারেনি কাদের।