পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, বিজেপি-র সাত নেতা-নেত্রী প্রশাসনের ‘নজরবন্দি’!
বিজেপি-র সাত নেতা-নেত্রীকে ‘নজরবন্দি’ করে রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই গেরুয়া শিবিরের গতিবিধি জানতে নজরদারি শুরু করেছে শাসক শিবির।
কলকাতা, ৮ মার্চ : বিজেপি-র সাত নেতা-নেত্রীকে 'নজরবন্দি' করে রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই গেরুয়া শিবিরের গতিবিধি জানতে নজরদারি শুরু করেছে শাসক শিবির। অভিযোগ, প্রশাসনকে বিজেপি নেতাদের পিছনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন- সবকিছুই নজরে রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। বিজেপি-র পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে চাপ বাড়ছে শাসক শিবিরে। গ্রামেগঞ্জে শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপি-র দিকে ঝুঁকে পড়ছেন অনেক কর্মীই। এমনকী বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়েও বিজেপি শিবিরে নাম লেখাচ্ছে অনেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা বুমেরাং হতে পারে। সেই কারণেই তৃণমূল চাইছে না পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি-র নেতানেত্রীরা তৃণমূলকে ভাঙতে শুরু করুক। তাই তাদের গতিবিধির উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা বলে অভিযোগ।
সেই কারণেই বিজেপি-র সাত নেতা-নেত্রীকে আপাতত টার্গেট করা হয়েছে। প্রশাসনকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, শমীক ভট্টাচার্য, রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারের গতিবিধির দিকে প্রশাসন সেইমতো কড়া নজর রেখেছে। শাসকদলের নির্দেশেই তাঁদের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁদের নেতানেত্রীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। এইভাবে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না। মানুষ তৃণমূলের স্বরূপ বুঝতে পেরেছে। তাঁদেরকে আটকানোর চেষ্টা করলেও সফল হবে না তৃণমূল।