কলেজ স্কোয়ারে মিছিল-মিটিং বন্ধের সিদ্ধান্তে পথে নেমে প্রতিবাদ করবে বিরোধীরা
মুখ্যমন্ত্রী ছেঁদো যুক্তি সাজিয়ে কলেজ স্কোয়ারে মিটিং-মিছিল বন্ধ করে দিতে চাইছেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন বিরোধী নেতা কী বললেন?
কলেজ স্কোয়ারে মিছিল-মিটিং বন্ধের 'তুঘলকি' সিদ্ধান্ত মানবে না বিরোধী দলগুলি। পথে নেমেই এর প্রতিবাদে সামিল হবে রাজনৈতিক দলগুলি। মুখমন্ত্রীর ছেঁদো যুক্তি মানতে চাইছেন না কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরাই। তৃণমূল সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক না হলেও পৃথক পৃথকভাবে আন্দোলনের রাস্তাতেই হাঁটতে চলেছে বিজেপি, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।
শুক্রবার সিটু, আইএনটিইউসি-সহ কেন্দ্রীয় কর্মচারী সংগঠনের মিছিল রয়েছে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত। শনিবার ফরওয়ার্ড ব্লক নেতাজির মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আরটিই জবাবে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা মিছিল করবে। এই মিছিল থেকেই প্রতিবাদ আছড়ে পড়বে সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য প্রথমে শুক্রবার থেকে কলেজ স্কোয়ারে মিটিং-মিছিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরে তা সোমবার থেকে করা হয়। দু'টি কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া ছিল বলেই এই সিদ্ধান্ত বদল কলকাতা পুলিশের।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন। সেই কারণেই এমন ধরনের অরাজক সিদ্ধান্ত নিলেন। এখন তৃণমূল সরকারে, তাই এখন তাঁর আর আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। আগে তিনি রাজপথ আটকে মিছিল করেছেন, বিধানসভায় তাণ্ডব করেছেন। তখন অন্যের অসুবিধার কথা ভাবেননি। আজ যখন তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন তখনই অন্যের অসুবিধার ধুয়ো তোলা হচ্ছে।
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কিছুদিন আগেই বামফ্রন্ট নবান্ন অভিযান করেছিল। বামেদের সেই আন্দোলন দেখে ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই আগেভাগে তিনি যাবতীয় আন্দোলন বন্ধ করতে চাইছেন। সেই কারণেই এই হঠকারী সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর। বিরোধীদের আন্দোলনের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিবাদে সামিল হবেন।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমন অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিলেন। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব। বিরোধী আন্দোলনকে এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। এই সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারী বলে ব্যাখ্যা করেন এসইউসি সম্পাদক সৌমেন বসু। তিনি বলেন, এইসব দুর্জনের অজুহাত দিয়ে বিরোধী আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা যাবে না। তুঘলকি সিদ্ধান্ত মানবেন তাঁরা।