মাত্র ৯ মিনিটে অ্যাপেলো থেকে এসএকেএমে সুরভি-র কিডনি!
ফের শহরে অঙ্গদান। এবার আসানসোলের বাসিন্দা সুরভি বরাটের অঙ্গদান করার সিদ্ধান্ত নিল তাঁর পরিবার। ফের পাঁচ জীবন দানে মানবতার নজির সৃষ্টি হল শহরের বুকে।
কলকাতা, ২৬ ডিসেম্বর : ফের শহরে অঙ্গদান। ফের গ্রিন করিডোর করে এই শহরের বুকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন। রাস্তার সব সিগন্যাল সবুজ হয়ে উঠল একসঙ্গে। এবার মাত্র ৯ মিনিটে অ্যাপেলো হাসপাতাল থেকে কিডনি পৌঁছে গেল এসএসকেএমে। ১০.১৯ থেকে ১০.২৮। বড়দিনের রাতে এক বড় মনের পরিচয় রাখল আসানসোলের সুরভি বরাটের পরিবার। শোভনা সরকার, স্বর্ণেন্দু রায়ের পর সুরভিও মৃত্যুঞ্জয়ী হলেন। মানবতার নজির সৃষ্টি করে পাঁচ শরীরে নবজীবন লাভ করল সুরভির অঙ্গ।
আসানসোলের
বাসিন্দা
সুরভি
বরাট।
কলকাতার
অ্যাপেলো
হাসপাতালে
ব্রেন
টিউমার
নিয়ে
ভর্তি
হয়েছিলেন
সুরভিদেবী।
কিন্তু
শেষ
রক্ষা
হয়নি।
শনিবার
রাতে
তাঁর
ব্রেন
ডেথ
ঘোষণা
করেন
চিকিৎসকরা।
তারপর
রবিবার
সুরভির
বাবা-মা
সিদ্ধান্ত
নেন,
মেয়ের
অঙ্গদান
করে
অন্যের
শরীরে
তাঁকে
বাঁচিয়ে
রাখার।
গত
নভেম্বরেই
কলকাতায়
গ্রিন
করিডোর
ব্যবহার
করে
অঙ্গ
প্রতিস্থাপন
হয়েছিল
কলকাতার
বুকে।
কলকাতার অ্যাপেলো হাসপাতালে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মেধাবী ছাত্র স্বর্ণেন্দু রায়ের ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদানের কথা জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা। সেইমতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রিন করিডোর ব্যবহার করে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিরল নজির সৃষ্টি হয়েছিল শহরে। আবারও সেই গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে অঙ্গদানের বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা।
শোভনা সরকার পথ দেখিয়েছিলেন। সেই পথে হেঁটেই স্বর্ণেন্দু রায় ও সুরভি বরাটরা অঙ্গদান করে ইতিহাসে নাম লেখালেন। মানুষ যে সচেতন হচ্ছে- শহরের বুকে বারবার অঙ্গদানের ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। শোভনা সরকারের অঙ্গদানের পর যে রেওয়াজ তৈরি হয়েছে, স্বর্ণেন্দুর অঙ্গ অন্যের শরীরে প্রতিস্থাপনে তা একেবারে ইতিহাসে ঢুকে পড়ে কলকাতা।
লিভার ও কিডনি গ্রিন করিডোর তৈরি করে অ্যাপেলো থেকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। সফল লিভার প্রতিস্থাপনের পরও অবশ্য বাঁচানো যায়নি রোগীকে। তবে এই উদ্যোগ ছিল সাধুবাদ যোগ্য। আবারও সেই গ্রিন করিডোরের সুবিধা নেওয়া হল। এবার গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে সুরভির কিডনি মাত্র ন'মিনিটে পৌঁছয় এসএসকেএমে। এসএসকেএমে বিজয়কুমার ভুতের শরীরে প্রতিস্থাপন হবে কিডনি।
অন্য কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে অ্যাপেলো হাসপাতালেই। তাঁর দু'টি চোখও পাচ্ছেন অপর দুই রোগী।