বর্ষামঙ্গলে ক্রমেই দুর্মূল্য হচ্ছে পেঁয়াজ, কোথায় ঠেকল দাম
রাজ্যে বন্যা ও বানভাসি অবস্থায় ফসলহানি হয়েছে। সড়ক পরিবহণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই কি পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী? খুচরো ও পাইকারি বিক্রেতাদের মাথায় হাত।
সম্প্রতি রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভয়াবহ বন্যার জেরে অগ্নিমূল্য বাজার। তারই মধ্যে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত পড়েছে। পেঁয়াজের ঝাঁঝে সাধারণ ক্রেতাদের অবস্থা নাজেহাল। সবজির দামও আকাশছোঁয়া বঙ্গের বাজারে।
কলকাতার বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। এক ধাক্কায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা, কোথাও আবার ১৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে পিঁয়াজ বা অন্যান্য সবজির দাম ধরাছোঁয়ার মধ্যেই ছিল। হঠাৎ করে বানের জলে সবজি ক্ষেত ভরে যেতেই হু-হু করে বাড়ছে সবজির দাম। তার মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত।
রোজার মাসে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ঘোরা-ফেরা করেছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকায়। ইদের পরও ওই একই দামের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে পেঁয়াজ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরই এক লাফে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজের দাম।
রাজ্যে বন্যা ও বানভাসি অবস্থায় ফসলহানি হয়েছে। সড়ক পরিবহণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে মনে করছে খুচরো ও পাইকারি বিক্রেতারা। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত খুচরো বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা ছিল, এই সপ্তাহে তা ২৫ বা ৩০ টাকা।
পাইকারি বাজারগুলিতেও পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কোলে মার্কেট, মানিকতলাবাজারে ভালোমানের পেঁয়াজ টন প্রতি এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারিমানের পেঁয়াজের দর টন প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এই প্রতিকূল অবস্থায় এখনি পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে করছেন না ব্যবসায়ীরা।
সাম্প্রতিক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ব্যাপক বর্ষণে দক্ষিণবঙ্গে সবজির সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেই সরবরাহে ঘাটতির জেরেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। পটল, বাঁধাকপি, করলা, বেগুন, টমেটো সব কিছুর দামই অতিরিক্ত। বাজারে হাত ঠেকানোর জো নেই, হাতে ছ্যাঁকা লাগার সমূহ সম্ভাবনা ভরা বর্ষার বাজারে।