দুবাই, জাপান, চিনের প্রবাসী বাঙালিরা সেদেশে বসেই পাবেন বাংলার মাছ!
বাংলার সঙ্গে বহুদিন হল যোগাযোগ নেই। ফলে বাংলার মাছের স্বাদ ভুলতে বসেছেন? আপনি যদি দুবাই, জাপান অথবা চিনের প্রবাসী বাঙালি হন তাহলে আপনার জন্য সুখবর রয়েছে।
কলকাতা, ২৮ মার্চ : বাংলার সঙ্গে বহুদিন হল যোগাযোগ নেই। ফলে বাংলার মাছের স্বাদ ভুলতে বসেছেন? আপনি যদি দুবাই, জাপান অথবা চিনের প্রবাসী বাঙালি হন তাহলে আপনার জন্য সুখবর রয়েছে। বাংলার মৎস্য দফতর খুব শীঘ্রই এরাজ্যের নানা ধরনের মাছ রফতানি করতে চলেছে।
রাজ্য মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, নানা ধরনের বাংলার মাছ দুবাই, জাপান, চিনের মতো দেশে রফতানি করার ৯০০ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে রাজ্য। এই প্রথম রাজ্য মৎস্য দফতর এই ধরনের অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে।
এর ফলে বাংলার মাছকে যেমন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া যাবে, তেমনই এরাজ্যের গরিব মৎস্যজীবীদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে মানোন্নয়ন হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এর ফলে বিদেশি মুদ্রা আয়েও রাজ্য অনেকটা এগিয়ে যাবে। সম্প্রতি রাজ্য মৎস্য দফতর রফতানি নিয়ে নতুন করে উদ্যোগী হয়। তার মধ্যেই এত কোটি টাকার অর্ডার আশায় সকলেই উৎসাহিত বোধ করছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলার মাছের যোগানকে বিস্তৃত করতে সল্টলেকের নলবন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার হেনরি আইল্যান্ডে প্রসেসিং ইউনিট গড়ে তুলেছে রাজ্য মৎস্য দফতর। বিদেশে যে মাছ রফতানি হবে তা এই দুই কেন্দ্রে তার আগে নিয়ে এসে প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জাপানি একটি প্রতিনিধি দল বাংলায় আসে। এখানকার লাল চিংড়ি খুব পছন্দ হয় তাদের। এরপর ৫০০ কোটি টাকার বায়না দিয়ে গিয়েছে জাপান। পাশাপাশি দুবাই ও চিনের তরফেও অর্ডার এসেছে। সেজন্য কীভাবে মৎস্য চাষে আগামী প্রজন্মকে আরও বেশি করে উৎসাহিত করা যায়, সেবিষয়ে পরিকল্পনা করছে মৎস্য দফতর।
উদ্দেশ্য হল, মৎস্য চাষে যুব সমাজকে উৎসাহিত করা ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি মৎস্য চাষে উৎসাহী গ্রামবাসীদের বিনামূল্যে কারিগরি সহায়তাও প্রদান করছে রাজ্য সরকার।