(ছবি) খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে আবেশের রহস্যমৃত্যুকে দুর্ঘটনাই বলছে পুলিশ
কলকাতা, ২৫ জুলাই : আবেশ দাশগুপ্ত মৃত্যু রহস্য ক্রমশই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। যে পুলিশ বলেছিল, বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে মদ্যপ অবস্থায় দুই বন্ধুর বচসার পর পেটে ভাঙা কাঁচের বোতল ঢুকিয়ে খুন করা হয়েছে আবেশকে। এমনকী খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্বও খাঁড়া করেছিল তারাই একদিনের মাথায় ভোল পাল্টে বলছে আবেশ খুনই হননি। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
শনিবার সানি পার্কের অভিজাত বহুতলের পার্কিং লট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৭ বছরের আবেশের মৃতদেহ। তদন্তকারি অফিসাররা জানিয়েছিলেন, পার্টিতে মদ্যপানের পর আবেশের সঙ্গে তার ছোটবেলার এক বন্ধুর বচসা হয়। সেখান থেকেই হাতাহাতি এবং সেই বন্ধুও মদের ভাঙা বোতেল আবেশের পেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের থেকে পুলিশের ওই বন্ধুর নামও জানতে পেরেছে বলে দাবি করেছিল। শুধু তাই নয়, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। [বালিগঞ্জে কিশোরের পেটে ভাঙা কাঁচের বোতল ঢুকিয়ে খুন, ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব সামনে]
এক দিন যেতে না যেতেই তদন্তকারীরা একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বলছে, আবেশকে কেউ খুন করেনি। বরং দুর্ঘটনার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। পার্টিতে প্রচুর মদ্যপান করার ফলে বেসামাল হয়ে গিয়েছিল সে। তার হাত থেকে মদের বোতল পড়ে ভেঙে যায়। আবেশ হোঁচট খেয়ে তার উপর পরে। এর ফলে শিরা ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হয়েই মৃত্যু হয় আবেশের। হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট থেকেই এই বিষয়টি সামনে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
কিন্তু পুলিশের এই ভোলবদল মেনে নিতে পারছেন না আবেশের মা। আবেশকে যে খুন করেছে তার বাবা বিত্তবান, প্রভাবশালী। তার চাপে পড়েই পুলিশ তথ্য লোপাটের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন আবেশের মা। আবেশের মাই প্রথম খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন। আবেশের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলাও ঋজু করা হয়েছিল।
তবে, খুন না দুর্ঘটনা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তদন্তে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট আসলে এই দ্বন্দ্ব কিছুটা কাটতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, আবেশের শরীরের ক্ষতচিহ্নের ধরণ দেখে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন অনেকে।