রুমমেটের সঙ্গে বান্ধবীর সম্পর্ক মানতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নেয় ইমন!
রুমমেটের সঙ্গে বান্ধবীর সম্পর্ক মানতে পারেননি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইমন। তারই জেরে মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহননের পথে বেছে নেয় সে।
কলকাতা, ১ ফেব্রুয়ারি : রুমমেটের সঙ্গে বান্ধবীর সম্পর্ক মানতে পারেননি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইমন। তারই জেরে মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহননের পথে বেছে নেয় সে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কের আবর্তেই শহরের বুকে আরও একটা তরতাজা যুবকের প্রাণ চলে গেল।[মৃত ছেলের সঙ্গে স্বর্গে গিয়ে দেখা হবে, এই আশায় আত্মঘাতী দম্পতি]
মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র পুরুলিয়া থেকে কলকাতায় এসেছিল চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে। পুরুলিয়ারই এক তরুণীর সঙ্গে ছিল প্রেমের সম্পর্ক। সেই বান্ধবীও কলকাতায় পড়তে এসেছিল। রুবির কাছে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত ইমন। সেই ফ্ল্যাটেও যাতায়াত ছিল বান্ধবীর। সেখানে ইমনের এক বন্ধুর সঙ্গে ইদানিয়ং সখ্যতা তৈরি হয়েছিল তার।[একই গাছের ডালে ঝুলছে কাকা-ভাইঝির দেহ]
এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি ইমন। প্রায়ই মনমরা হয়ে থাকত। সম্প্রতি বাড়িতে মাকে ফোন করে জানিয়েছিল তাঁর মন ভালো নেই। তারপরই ঘটে গেল মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্কে অবনতিই এই মৃত্যুর কারণ। পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েকদিন আগে ওই বান্ধবী ইমনের ফ্ল্যাটে আসে, সেখানে তাদের মধ্য উচ্চ বাক্য বিনিময় হয়। তারপর আরও ভেঙে পড়ে ইমন।[এক ব্যক্তির আত্মহত্যার ঝাঁপে, মৃত্যু হল নিচে শোওয়া বৃদ্ধার!]
ইমনের তার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই বান্ধবীকেও ডিটেন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও বন্ধু বা বান্ধবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি বাগুইআটি থানায়। পুলিশও মনে করছে এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার কেষ্টপুরে বন্ধুর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ইমন দত্তের ঝুলন্ত দেহ।