রিপ্রিন্ট ওষুধের জাল ছড়িয়েছে জেলাতেও, সিআইডি রাডারে ডিস্ট্রিবিউটররা
বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না স্বাস্থ্য দফতরকে। শিশু পাচার, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতি থেকে শুরু করে এবার বিতর্ক ওষুধ-জাল নিয়ে।
কলকাতা, ১৩ মার্চ : বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না স্বাস্থ্য দফতরকে। শিশু পাচার, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতি থেকে শুরু করে এবার বিতর্ক ওষুধ-জাল নিয়ে। রিপ্রিন্ট করা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের মারণ কারবার শহর ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে জেলাতেও। জেলার বহু ডিস্ট্রিবিউটার এখন সিআইডির রাডারে। লালবাজারের গোয়েন্দারা সূত্র পেয়েছেন, কলকাতার পরে হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান ও দুই ২৪ পরগনাতেও রিপ্রিন্ট করা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ডিস্ট্রিবিউটরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। সিআইডি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেলার যোগসূত্র পায় সিআইডি। এই মুহূর্তে সিআইডি-র মূল লক্ষ্য, কোথায় কোথায় মেয়াদ উত্তীর্ণ রিপ্রিন্ট ওষুধের জাল ছড়িয়েছে, কারা কারা এই কাণ্ড যুক্ত। তা জানতেই জেরা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের মারণ কারবার নিয়ে লালবাজারে অভিযোগ জানায়। সেইমতো তদন্ত নেমে প্রথমে ক্যানিং স্ট্রিট থেকে গ্রেফতার করা হয় পবন ঝুনঝুনওয়ালাকে। তার ছাপাখানাতেই নেল পালিশের রিমুভার দিয়ে এক্সপায়েরি ডেট তুলে রিপ্রিন্ট করা হত ওষুধের স্ট্রিপ। তারপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন জায়গায়।
এরপরই রিনেশ সারোগীর সন্ধান পায় পুলিশ। ক্যানিং স্ট্রিটের ছাপাখানার সঙ্গে ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরের যোগ ছিল। বেলুড়ে তার গোডাউনে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও পাওয়া যায়। হুগলির বাসিন্দা পল্টু হাজরার হদিশ পায় পুলিশ। সুকিয়া স্ট্রিটের একটি ওষুধ দোকানের খোঁজও মিলেছে। তিন ধৃতকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেলার যোগসূত্রগুলি বের করতে চাইছে।