কে ডি-র বিরুদ্ধে এফআইআর পুলিশের, মির্জাকে শোকজ করছে স্বরাষ্ট্র দফতর
নারদাকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে শোকজ হতে চলেছেন আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জা। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে তাঁকে শোকজ নোটিশ ধরানো হতে পারে বৃহস্পতিবারই।
কলকাতা, ২৩ মার্চ : নারদাকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে শোকজ হতে চলেছেন আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জা। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে তাঁকে শোকজ নোটিশ ধরানো হতে পারে বৃহস্পতিবারই। এদিকে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিং-এর বিরুদ্ধে সত্বঃপ্রণোদিত মামলা করল কলকাতা পুলিশ। বউবাজার থানায় এই মামলার পরই পুলিশের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রব্রতীর ডিভিশন বেঞ্চ ওইদিন রাজ্য পুলিশকে হাতের পুতুল বলেও কটাক্ষ করে। তাই রাজ্য পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে না। সে জন্য দরকার নিরপেক্ষ সংস্থা। সেদিনই আইপিএস অফিসার মির্জাকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই নির্দেশ মোতাবেকই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। তাঁর অনুমোদন পেয়েই মির্জাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। মির্জা যে সময় নারদকাণ্ডে জড়াল, সেইসময় বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি। তাঁর মুখেই শাসকদেলর নেতা-মন্ত্রীদের নাম উঠে আসে। কলকাতা পুলিস তাঁকে এ ব্যাপারে দু'বার জিজ্ঞাসাবাদ করলেও আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে রাজ্য।
এদিকে কেডি সিংয়ের বিরুদ্ধে বউবাজার থানায় ৪২০ ধারায় প্রতারণা ও ৪০৬ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ, ১২০ বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও ৪০৯ ধারায় পাবলিক সার্ভেন্টকে দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।