এবার চাকরি পেয়েছেন মিস্টার ‘ওয়াই’! নয়া বিতর্কে প্রাইমারি টেট
প্রাইমারির টেটে এবার চাকরি পেয়েছেন মিস্টার ‘ওয়াই’। অবাক হবেন না। এটাই সত্যি। টেটে সফল চাকরি প্রার্থীর প্রকাশিত তালিকায় এই নামটিই এবার সবার নজর কেড়েছে।
কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি : প্রাইমারির টেটে এবার চাকরি পেয়েছেন মিস্টার 'ওয়াই'। অবাক হবেন না। এটাই সত্যি। টেটে সফল চাকরি প্রার্থীর প্রকাশিত তালিকায় এই নামটিই এবার সবার নজর কেড়েছে। বিতর্কের টেটে এবার নবতম কেলেঙ্কারি এটিই।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা থেকে শুরু করে ফলপ্রকাশ এবং কাউন্সেলিং- কখনই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। ৪২ হাজার ৩০০ নিয়োগপত্র বিলি শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পার্শ্বশিক্ষক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। নামের পাশে লেখা প্যারা টিটার বা পিটি। প্যারা টিচারের সার্টিফিকেট থাকলে তবেই আকরি। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা কেই এই ক্যাটাগরিতে ফর্মফিলাপ করেননি, তাহলে কেন তাঁদের নামের পাশে পিটি লেখা। তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক বা শিক্ষিকা পদেই নিযুক্ত হতে চান।
এর যথাযোগ্য উত্তর ছিল না প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে। রাজ্যজুড়ে তাই বিক্ষোভ দানা বেঁধেছিল প্রাথমিক টেট প্রার্থীদের। প্রতি জেলায় জেলায় অবস্থান, বিক্ষোভ, অনশন, প্রতিবাদ চলছিল। এবার সেই বিতর্কের মধ্যেই উঁকি দিল 'ওয়াই' নামের এক ব্যক্তি। বিতর্কের আগুনে ঘি পড়ল।
এই যে মিস্টার ওয়াই এবার চাকরি পেয়েছেন, তাঁর রেল নম্বর ০৭০০৬৪৭৯৬। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ওয়াবসাইটেই জ্বলজ্বল করছে এই নাম ও রেল নম্বর। এখন বিতর্ক দানা বেঁধেছে কোনও ব্যক্তির নাম ওয়াই হতে পারে কি? যদি ওয়াই নামই হবে, তাঁর পদবী কেন উধাও? উত্তর জানা নেই পর্ষদের।
এই ঘটনা প্রযুক্তিগত ভুল বলেই দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সমস্ত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে প্রযুক্তির সাহায্যে। তাই এ ধরনের ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। প্যানেলে যাদের নাম রয়েছে, তাঁরা উপযুক্ নথি দেখিয়ে কাজে যোগ দিতে পারবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, এটা ভুয়ো ওয়েবসাইট হতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। প্রযুক্তিগত ভুল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।