সোমবার বামেদের ধর্মঘট, তার আগে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণে সূর্য
নোট বাতিল ইস্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকেই নিশানা করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে কী বলে বিঁধলেন তিনি তা জেনে নিন একনজরে।
কলকাতা, ২৭ নভেম্বর : নোট বাতিল ইস্যুতে মানুষের দুর্ভোগের শরিক হতে সোমবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বামেরা। পাশাপাশি সারা ভারতেও বনধ ডাকা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের লড়াইকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি প্রশ্ন করেছেন, কালো টাকার বন্ধ হোক নাকি ভারত, কোনটা চাইছেন বিরোধীরা?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোট বাতিল ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেও বনধের বিরোধিতায় সিপিএমের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বনধ করলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এতে আরও একটি কর্মদিবস নষ্ট হবে।
এদিন এই প্রেক্ষিতে বনধের আগের দিন বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকেই নিশানা করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী বলে বিঁধলেন তিনি তা জেনে নিন একনজরে।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে মাইনে, পেনশনে প্রভাব পড়বে। ৫০০ ও ১ হাজারে নোট সরকার বাতিল করেছে। তা আমাদের মোট বাজার চলতি নোটের ৮৬ শতাংশ দখল করেছিল। সবমিলিয়ে মোট ১৪ লক্ষ কোটি টাকার নোট সরকারকে ছাপতে হবে।
আমরা হিসাব করে দেখেছি, এমনকী সমস্ত অর্থনীতিবিদদের হিসাব বলছে এই সমস্যা আগামী মার্চ মাসের আগে শেষ হবে না। কেন্দ্র সর্বাত্মক চেষ্টা করলেও এই পরিস্থিতির আশু সমাধান সম্ভব নয়। সেজন্যই এই ধর্মঘট জরুরি।
কর্মদিবস নষ্টের অজুহাতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে বাধা দিতে চাইছে সরকার। এদিকে দিনে পর দিন মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এভাবে লাইনে দাঁড়ানোয় শ্রমদিবস নষ্ট হচ্ছে না? ইতিমধ্যে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ধর্মঘটের চেয়ে আরও বেশি।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে দেশের জিডিপি এই আর্থিক বর্ষে অনেক কমে আসবে। আর আগামী বছর তা ৭ শতাংশের নীচে থাকবে। অর্থাৎ জাতীয় আয়ে বিরাট ক্ষতি হবে ও কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে। এসব একদিনের ধর্মঘটের থেকে অনেক বেশি।
এই সিদ্ধান্তের পর বহু মানুষ ইতিমধ্যে কর্মচ্যূত হয়েছেন। বস্ত্রশিল্প, চর্মশিল্প, গহনাশিল্প ইত্যাদির শ্রমিকরা ইতিমধ্যে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন সেরা মতো লাইনে দাঁড়িয়ে থাকুন। তবে তাতে আমাদের কোনও লাভ হবে না। উল্টে আমাদের অর্থনীতি সঙ্কটে পড়বে।