এই বন্ধুর জন্যই কী সনিকা মত্যুর তদন্তে বয়ান বদলালেন বিক্রম ?
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। বাংলার টেলি সিরিয়ালে গত কয়েক বছর ধরেই বেশ পরিচিত মুখ অনিন্দ্য। ইতিমমধ্যেই সৃজিত মুখার্জি থেকে বেশ কয়েকজন ভালো পরিচালিকরে ছবিতেও অনিন্দ্যকে দেখা গিয়েছে।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। বাংলার টেলি সিরিয়ালে গত কয়েক বছর ধরেই বেশ পরিচিত মুখ অনিন্দ্য । ইতিমমধ্যেই সৃজিত মুখার্জি থেকে বেশ কয়েকজন ভালো পরিচালিকরে ছবিতেও অনিন্দ্যকে দেখা গিয়েছে। টলিউডের উঠতি তারকাদের মধ্যে তাঁর নামও রয়েছে। মডেল সনিকা সিং চৌহানও অভিনেতা বিক্রমেরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে পরিচিত এই অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।[বিক্রমের জবাবে কেন সন্তুষ্ট নয় পুলিশ? আজ ফের জেরা ]
বিক্রমের গাড়ি দুর্ঘটনায়গ্রস্ত হওয়া এবং সনিকার মৃত্যুর পর থেকেই অনিন্দ্য অনেক কথা বললেও, অনেক সত্যই তিনি চেপে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। কারণ ২৯ এপ্রিলের আগের রাতে সনিকা ও বিক্রমের সঙ্গে ছিলেন এই অনিন্দ্য। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অনিন্দ্য একবারের জন্যওএ বলেননি যে বন্ধু অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়েছিলেন। কিন্তু নাটকের পট পরিবর্তন হয় মঙ্গলবার রাতে।[সনিকা মৃত্যু তদন্তে বিক্রমের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি- 'মদ খেয়েছিলাম মত্ত ছিলাম না' ]
টালিগঞ্জ থাানা থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনিন্দ্য। সেখানেই তিনি বলেন বিক্রম যে মদ খেয়েছিল পার্টিতে , তা তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তহলে তিনি একথা আগে বলেননি কেন ? উত্তরে অনিন্দ্যর দাবি তাঁকে কেউ এই প্রশ্ন আগে করেননি বলে তিনি এবিষয়ে উত্তর দেননি। এর বেশি তিনি কিছ্ছু বলেননি। তিনি সাংবাদিকদের জানান বিস্তারিত যা জানার পুলিশের কাছ থেকে জানুন, যা বলার তিনি তা বলে দিয়েছেন।[সনিকা মৃত্যু তদন্ত : রাতভর জেরা বিক্রমকে, পুলিশকে কী জানালেন তিনি? ]
আচমকা অনিন্দ্যর বয়ানে এমন পরবর্তন কেন ? জল্পনা ছড়িয়েছে, ২৯ এপ্রিলের আগের রাতে বিক্রম ও সনিকার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি যে সমস্ত বন্ধুদের দেখা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম ঘনিষ্ঠ ছিলেন অনিন্দ্য। এমনকী তাঁরা একসঙ্গে পার্টিতেও যান। সনিকার বন্ধুদের দাবি সনিকা বা বিক্রম কেউই গাড়ি চালাববার মতো শারীরিকভাবে সুস্থ্য অবস্থায় ছিলেননা সেসময়ে । অনিন্দ্য সেটা দেখেছিলেন কিন্তু এই বিষয়টি জানা সত্ত্বেও তিনি কেন লিফ্ট অফার করেননি তাঁদের ? তিনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কেন?
গত এক সপ্তাহ ধরে সোস্যাল মিডিয়ায় সনিকার বন্ধু এবং বন্ধুদের এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে অনিন্দ্যকে। গোটা ঘটনায় কার্যত অস্তস্তিতে অনিন্দ্য। পুলিশের সামনে সবকথা খুলে বলার জন্য অনিন্দ্যকে চাপও দেওয়া হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। এই চাপ আসে সনিকার বন্ধুদের তরফে।
তাহলে কী সোস্যাল মিডিয়ায় একাধিক অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েই সত্যটা চেপে রাখেত পারলেননা অনিন্দ্য? সেই কারণেই কী সনিকার মৃত্যুর প্রায় দেড় সপ্তাহের মাথায় পুলিশকে বললেন যে বিক্রম মদ খেয়েছিল? যদিও সোস্যাল মিডিয়ায় 'ট্রলড' হওয়ার কথা স্বীকার করেননি অনিন্দ্য়। কিন্তু পুলিশের দাবি অনিন্দ্যর এই মারাত্মক বয়ানের পর বিক্রমকে চেপে ধরে সত্য উদ্ঘাটন করতে আরও সুবিধা হয়। যার জেরে বিক্রমও একটা সময় পুলিশি জিজ্ঞসাবাদের মুখে ভেঙে পড়েন।