আমজনতার জীবনই আদর্শ, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাই ভ্রমণ-ভাতার আবেদন বিধায়কের
বিলাসবহুল জীবন থেকে তিনি অনেক দূরে বাস করেন। বিধায়ক হলেও আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই তিনি সংগ্রাম করে জীবন কাটাতে ভালোবাসেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে লেখা সেই কাহিনিই।
কলকাতা, ৩০ মার্চ : বিলাসবহুল জীবন থেকে তিনি অনেক দূরে বাস করেন। বিধায়ক হলেও আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই তিনি সংগ্রাম করে জীবন কাটাতে ভালোবাসেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে লেখা সেই কাহিনিই।
সততার লড়াইয়ে কংগ্রেস বিধায়ক মধু ঘোষ ব্যতিক্রমী এক চরিত্রের মানুষ। ট্রেনে-বাসে করেই তিনি বিধানসভায় যান। কখনও বিলাসবহুল গাড়ি চড়েন না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি আবেদন করলেন ভ্রমণ ভাতার। এবারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। এই দাবি তাঁর একার জন্য নয়, যে সমস্ত বিধায়করা ৬০ কিলোমিটার দূরে থাকেন তাদের সকলের জন্যই এই দাবি।
তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি আমজনতারই একজন, নাকি বিধায়ক। আসলে তিনি আমজনতার প্রতিনিধি। তাই তাঁর জীবনধারা অতিবাহিত হয় আমজনতার মতোই। এলাকায় ঘোরেন সাইকেলে। চড়েন টোটো, অটো. বাস, ট্রেন। একমাত্র দূরে কোথাও গেলেই তিনি ব্যবহার করেন গাড়ি। বারাকপুর পুরসভার চোয়ারম্যান থাককালীনও তিনি একইভাবে জীবন কাটাতেন। এখন বিধায়ক হয়েও পরিবর্তন আসেনি জীবনে।
মধুবাবু এমএলএ হস্টেল পাননি। তাঁর আপেক্ষ, যাঁরা হস্টেলে থাকেন তাঁরা ৩৫ হাজার টাকা ভাতা পান। যাঁরা হস্টেল নেন না, তাঁরা কানাকড়িও পান না। মধুবাবুর দাবি, যাঁরা হস্টেল পাননি, বাড়ি থেকে যাতায়াত করেন, তাঁরা অন্তত ৩০ হাজার টাকা করে ভাতা পান। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি এই আবেদন জানিয়েছেন।
বিধায়করা ভাতা হিসেবা মাত্র ১২ হাজার টাকা ভাতা পান। মিটিং তাকলে পান হাজার টাকা। গাড়ি ভাড়া করে যাতায়াত করলে খরচ হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। বিধায়ক ভাতা থেকেই অতিরিক্ত ৫০০ টাকা বহন করতে হয় তাঁদের। বিধানসভার স্পিকারের কাছে তিনি এই আবেদন রেখেছেন। স্পিকার তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন।