মেয়াদ ফুরনোর আগেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা মিঠুন চক্রবর্তীর
রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার রাজ্যসভার অধ্যক্ষ হামিদ আনসারির কাছে তাঁর ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিঠুন।
কলকাতা, ২৬ ডিসেম্বর : রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার রাজ্যসভার অধ্যক্ষ হামিদ আনসারির কাছে তাঁর ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিঠুন। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও'ব্রায়ান বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মিঠুন চক্রবর্তী ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি দলকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, সাংসদ না থাকলেও দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।
হঠাৎই রাজনীতির আঙিনা থেকে আড়ালে চলে গিয়েছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। বিশেষ করে সারদা কাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোর পর তিনি অন্তরাল থেকে বের হতেন না। দলের সঙ্গেও চাঁর সেভাবে কোনও সম্পর্ক ছিল না। এমনকী রাজ্যসভাতেও তাঁকে দেখা যায়নি। রাজ্যসভা থেকে তিনি দীর্ঘ ছুটি নিয়েছিলেন। আবারও চিঠির আবেদন করেন শীতকালীন অধিবেশনের আগে। কিন্তু আর তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাননি এই ধারা। তাই অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিতেই মনস্থ করেন।
মেয়াদ ফুরনোর অনেক আগেই তিনি ইস্তফা দিলেন সাংসদ পদ থেকে। ০১৪ সালের এপ্রিলে সাংসদ হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। তারপর আড়াই বছরের একটু বেশি সময় তিনি সাংসদ ছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগেই তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস এখনও স্থির করেনি মিঠুন চক্রবর্তীর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন।
ঘনিষ্ঠমহলে
মিঠুন
চক্রবর্তী
আগেই
জানিয়ে
ছিলেন,
তিনি
শারীরিকভাবে
অসুস্থ।
কয়েকদিন
আগে
তাঁকে
হাসপাতালেও
ভর্তি
হতে
হয়।
তাঁর
বিশ্রামের
প্রয়োজন
রয়েছে।
শারীরিক
অসুস্থতার
কারণ
দেখিয়েই
তিনি
রাজনীতি
থেকে
'সন্ন্যাস'
নিয়ে
নিলেন।
উল্লেখ্য,
মিঠুন
চক্রবর্তীর
বিরুদ্ধে
সারদাকাণ্ডে
অভিযোগ
উঠেছিল।
তিনিই একমাত্র অভিযুক্ত, যিনি সঙ্গে সঙ্গে ইডি দফতরে গিয়ে তাঁর সারদা থেকে নেওয়া ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা ফেরৎ দেন। তারপর থেকেই তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে। প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি। এমনকী রাজ্যসভাতে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন একপ্রকার পাকাপাকি।