নারদ সাংবাদিককে দীর্ঘ জেরা কলকাতা পুলিশের, সিবিআই জেরার মুখে আরেক তৃণমূল বিধায়ক, জানুন কে তিনি
তোলাবাজি মামলায় নারদ সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলকে দীর্ঘ জেরা কলকাতা পুলিশের। সিবিআই জেরার মুখে নারদ অভিযুক্ত ইকবাল আহমেদ।
একটি তোলাবাজির মামলায় বৃহস্পতিবার নারদ সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলকে মুচিপাড়া থানায় দীর্ঘক্ষণ জেরা করল কলকাতা পুলিশের একটি দল। বিহারের প্রাক্তন সাংসদ ডি পি যাদবের কাছে তোলা চেয়ে হুমকি ফোনের অভিযোগ ম্যাথু স্যামুয়েলের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে বারবার সমন করা সত্ত্বেও হাজির হননি ম্যাথু। অবশ্য অসুস্থতার কারণেই তিনি হাজির হতে পারছেন না বলে আইনজীবী মারফৎ জানিয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে সোজা মুচিপাড়া থানায় চলে যান নারদ সাংবাদিক। দীর্ঘ জেরায় তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের খবর।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিহার পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে মুচিপাড়া থানা এলাকার একটি হোটেলে অভিযান চালানো হয়। ওই হোটেলের একটি ঘর থেকে একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। ল্যাপটপের ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর পুলিশের দাবি, বিহারের প্রাক্তন সাংসদ ডিপি যাদবের কাছে ৫ কোটি টাকা চেয়ে ফোন করা বলা হয়, টাকা না দিলে তাঁর ঘুষ নেওয়ার একটি স্টিং অপারেশন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়া হবে। এই ল্যাপটপের ফুটেজের ম্যাথু স্যামুয়েলসের সঙ্গে মিল থাকা একজনকেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এরপরই ম্যাথুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এদিন অবশ্য ম্যাথুর দাবি, তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তবে পুলিশের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নারদ ফুটেজ নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
অপরদিকে বৃহস্পতিবারই নারদকাণ্ডে অন্য়তম অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। আগে থেকেই তাঁর জন্য একটি প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রের খবর।এই প্রশ্নগুলি হল নারদ ফুটেজে তাঁকে কেন টাকা নিতে দেখা গিয়েছে? কোন কোন তৃণমূল নেতা- মন্ত্রীর কাছে তিনি ম্যাথু স্যামুয়েলকে নিয়ে গিয়েছিলেন? তাঁর সঙ্গেই বা ম্যাথুর পরিচয় হল কীভাবে?টাকা নেওয়ার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল?এছাড়াও ইকবাল আহমেদকেও আরও কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। রেকর্ড করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।