গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণ তৃণমূলের নীতি নয়, মাওবাদী-ভোটবাদীরা ইন্ধন দিচ্ছে ভাঙড়ে : পার্থ
জোরে জমি অধিগ্রহণ করা তৃণমূলের নীতি নয়। মানুষ চাইলে প্রকল্প হবে, না চাইলে জোর করে জমি নিয়ে প্রকল্প হবে না। তৃণমূলের ঘোষিত নীতি এটাই।
কলকাতা,
১৮
জানুয়ারি
:
গায়ের
জোরে
জমি
অধিগ্রহণ
করা
তৃণমূলের
নীতি
নয়।
মানুষ
চাইলে
প্রকল্প
হবে,
না
চাইলে
জোর
করে
জমি
নিয়ে
প্রকল্প
হবে
না।
তৃণমূলের
ঘোষিত
নীতি
এটাই।
বুধবার
বেলঘরিয়ার
এক
অনুষ্ঠানে
এসে
এমনই
মন্তব্য
করেন
তৃণমূলের
মহাসচিব
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়।[নন্দীগ্রামের
পর
ভাঙড়েও
তৃণমূলের
হাত
ধরে
প্রবেশ
মাওবাদীদের!
ব্যাখ্যা
দিলীপ
ঘোষের]
তিনি
বলেন,
কেউ
কেউ
ভাঙড়ের
জমি
আন্দোলনের
সঙ্গে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নেতৃত্বে
নন্দীগ্রাম
ও
সিঙ্গুরের
আন্দোলনকে
তুলনা
করছেন।[ভাঙড়ের
পরিস্থিতি
সামলাতে
আসরে
নামছেন
মুখ্যমন্ত্রী,
ভবানি
ভবনে
পুলিশকর্তাদের
সঙ্গে
বৈঠক]
আসলে নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুরের ঐতিহাসিক আন্দোলনকে হেয় করা হচ্ছে। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের পিছনে তাঁদের সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। মানুষ যখন চাইছে না, তাঁদের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে প্রকল্প বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।[কেন ভাঙড়ে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী? হিম্মত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সূর্যকান্ত মিশ্র]
ফলে এখন আর সমস্যা থাকতে পারে না। কিন্তু এই সমস্যাকে জিইয়ে রাখা হচ্ছে। প্রকল্প বন্ধ ঘোষণা করার পরও এই সমস্যাকে জিইয়ে রাখার পিছনে রয়েছে মাওবাদী আর কিছু ভোটবাদীদের হাত। ওখানে আন্দোলনের নামে খেলা চলছে। বহিরাগতরা এসে উসকানি দিচ্ছে গ্রামবাসীদের। উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।[ভাঙড়ের ঘটনা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, দাবি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার ]
তিনি বলেন, পুলিশ ভাঙড়ে গুলি চালায়নি, গুলি চালিয়েছে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। আমাদের সরকার কোনও অবস্থাতেই পুলিশ দিয়ে বন্দুক চালিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীদের আক্রমণ করে না। আমরা মানুষের সমর্থন নিয়ে উন্নয়নের কাজ করি। তাই আবারও বলছি, ভাঙড়ের মানুষ যখন চায় না, ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প হবে না। মানুষ নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।