মিঠুনের জায়গায় রাজ্যসভায় যাচ্ছেন মণীশ, দক্ষিণ কাঁথির উপনির্বাচনে চন্দ্রিমায় সিলমোহর
এবার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন মণীশ গুপ্তা। তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন তিনি। আর দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
কলকাতা, ১ মার্চ : এবার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন মণীশ গুপ্তা। তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন তিনি। আর দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবার বিধানসভা নির্বাচনে দুই হেরো প্রার্থীর উপরই ভরসা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কালীঘাটে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী দাদা ছেড়ে যাওয়া তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে দক্ষিণ কাঁথির বিধানসভা আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সেই কেন্দ্রে অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলেই টিকিট পাবেন বলে মনে করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু মমতা ভেবেছিলেন অন্যরকম। তিনি চেয়েছিলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া মণীশ গুপ্ত ও চন্দ্রিমাকে জিতিয়ে আবার মন্ত্রিসভায় কাজে লাগাতে।
সেইমতো চন্দ্রিমাকে আবার মন্ত্রিসভায় আনতে দক্ষিণ কাঁথির উপনির্বাচনে তাঁকেই টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিকে ছিঁড়ছে না সৌমেন্দু অধিকারীর। উল্লেখ্য এবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দমদম উত্তর কেন্দ্র থেকে এবার পরাজিত হন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় সুযোগ মেলেনি এবার। চন্দ্রিমাকে চাই মমতার। তাই দক্ষিণ কাঁথিতে তিনই মুখ্যমন্ত্রীর অটোমেটিক চয়েস।
তবে মণীশ গুপ্তর নামটাও দক্ষিণ কাঁথির তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ঘুরছিল। তিনি কাকে অগ্রাধিকার দেবেন মণীশ গুপ্ত না চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য? তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন নিজেও। শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজটা সহজ করে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ ত্যাগ করলেন।
আর মিঠুনের সেই ছেড়ে যাওয়া আসনে দলনেত্রী রাজ্যসভায় পাঠানোর বিষয়টিতে চূড়ান্ত করলেন মণীশ গুপ্তর নাম। মণীশ গুপ্তই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। এদিনই চূড়ান্ত হয়ে গেল দু'টি বিষয়ই।