গৃহবধূর রহস্য মৃত্যু, মানিকতলার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতেই মানিকতলার মুরারিপুকুরে গৃহবধূ নন্দিতা বিশ্বাসের রহস্যমৃত্যু। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। পণের জন্য তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ
প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতেই মানিকতলার মুরারিপুকুরে গৃহবধূ নন্দিতা বিশ্বাসের রহস্যমৃত্যু। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। পণের জন্য তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ । ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছন মৃতের বাপের বাড়ির আত্মীয়রা।
নন্দিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর ১৯ অগাস্ট বাঁকুড়ার নন্দিতা সরকারের সঙ্গে বছর বিয়ে হয় মানিকতলার মুরারিপুকুরের বাসিন্দা তন্ময় বিশ্বাসের। বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তন্ময়।
নন্দিতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সমস্যা তৈরি হতে থাকে। বিয়ের সময় পণ দেওয়া সত্ত্বেও দিন দিন চাহিদা বাড়ছিল তন্ময়ের। না পেয়ে স্ত্রীর ওপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। স্বামী তন্ময় ছাড়াও ননদ ও শাশুড়ি নন্দিতার ওপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। ঠিক করে খেতে না দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন মৃতের আত্মীয়রা। দিন দুয়েক আগে মারধরের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর এক আত্মীয়কে পাঠান নন্দিতা। সেই ছবিতে নন্দিতার মুখে কালশিটের দাগ রয়েছে।
ছবি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নন্দিতার আত্মীয়রা তন্ময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইতিমধ্যেই শনিবার সন্ধেয়, ফোন করে জানানো হয়, নন্দিতা দরজা বন্ধ করে রয়েছেন। ডাকলেও সাড়া দিচ্ছেন না। শ্বশুরবাড়ির সেই ঘর থেকেই উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, নন্দিতাকে খুন করা হয়েছে।
গৃহবধূর বাপের বাড়ির করা অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নন্দিতার বাপের বাড়ির দাবি, শাশুড়ি ও ননদকেও শাস্তি দিতে হবে। যদিও, ধৃতের আত্মীয়রা অভিযোগ মানতে নারাজ। রবিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় নন্দিতার পরিবারের হাতে।