‘রাজ্যকে গারদ বন্দি করতে চাইছে মমতার সরকার’, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘গুলবাজ দ্য গ্রেট’ বলে কটাক্ষ সুজনের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার ‘গুলবাজ দ্য গ্রেট’ বলে কটাক্ষ বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, ‘ওঁদের ডিএনএ-তে ভাঙচুরের রাজনীতি। এখন ভুতের মুখে রামনাম শুনতে হচ্ছে।
কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার 'গুলবাজ দ্য গ্রেট' বলে কটাক্ষ বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। শুক্রবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে ভাঙচুরের রাজনীতি বন্ধে নিদান দিয়ে বিরোধীদের এক হাত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তারই পাল্টা দিলেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'ওঁদের ডিএনএ-তে ভাঙচুরের রাজনীতি রয়েছে। এখন ভুতের মুখে রামনাম শুনতে হচ্ছে।["টেট-এ ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে!"]
সুজন বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ভাঙচুর বন্ধের কথা শুনে এখন ঘোড়াতেও হাসছে। আর মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে বলবে 'গুলবাজ দ্য গ্রেট'। শুধু এটুকুতেই থেমে যাননি সুজন চক্রবর্তী। শনিবার সম্পত্তি ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ বিলের প্রতিবাদে গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করে বামেরা। এই মিছিলে অংশ নিয়ে সুজন চক্রবর্তী জানান, এটা একেবারেই একটা কালো বিল। এই বিলের মাধ্যমে রাজ্যকে গারদ-বন্দি করতে চাইছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ভাঙড়ে পুলিশের গুলিতে দু'জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হল। তা নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই। এই মৃত্যু নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেনি সরকার। উল্টে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর যত মাথাব্যাথা। সরকারি সম্পত্তি রক্ষার নামে যে বিল পাস করা হয়েছে, তা আসলে নিজেদের ইচ্ছা হলেই মানুষকে গ্রেফতার করার পথ প্রশস্ত করা। এই বিলের মাধ্যমে গোটা রাজ্যকে কারাগরে পরিণত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিলের ফলে ওয়ারেন্ট ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করা যাবে। এহেল কালো বিলের বিরুদ্ধেই তাঁদের প্রতিবাদ।
এদিন এই বিলের প্রতিবাদে পথে নেমে গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত বিশাল মিছিল করা হয়। সুজনবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও স্লোগানের বিরুদ্ধে কথা বলেন কোন মুখে। ভাঙচুরের রাজনীতি তো ওদের রক্তে। ভাঙচুরের রাজনীতি করেই ওরা ক্ষমতায় এসেছে। তাহলে আজ এত উতলা হয়ে উঠছেন কেন? প্রশ্ন তোলেন সুজনবাবু। এদিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সুজনবাবু বলেন, ক্ষমতা থাকলে মুখ্যমন্ত্রী এইসব কথা ভাঙড়, রসপুঞ্জ বা আউশগ্রামে গিয়ে এসব কথা বলুন। সেখানেই উত্তর পেয়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।