২১শে জুলাই কমিশনের রিপোর্টকে মান্যতা মমতার, মেনে নিলেন সুপারিশও
২১শে জুলাই কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে আরও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা নিহতদের পরিবারকে। তুলে নেওয়া হল সব গ্রেফতারি পরোয়ানা।
২১শে জুলাই কমিশনের সুপারিশ মেনে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, সেসবই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১শে জুলাইয়ের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আগেই চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তা সত্ত্বেও কমিশনের সুপারিশ মেনে মৃতদের পরিবারকে আরও ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:বিজেপি ভারত ছাড়ো, ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা মঞ্চ থেকে ডাক মমতার]
১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই মহাকরণ অভিযানে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩জন যুব কংগ্রেসকর্মীর। পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পুলিশের লাঠিতে মাথা ফেটেছিল সৌগত রায়েরও। এই ঘটনার ১৮ বছর পর এই রাজ্যেরই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই তিনি একুশে জুলাইয়ের ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করেন। ওড়িশা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব কমিশন গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি সেই কমিশনের রিপোর্ট হাতে এসেছে রাজ্য সরকারের।
[আরও পড়ুন:মহাত্মার 'ভারত ছাড়ো'-র সঙ্গে আদৌ কি মিল আছে মমতার আন্দোলনের]
শুক্রবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, একুশে জুলাই একটা গভীর চক্রান্ত ছিল বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। রীতিমত চক্রান্ত করেই যুব কংগ্রেস কর্মীদের মারা হয়েছিল বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে যাদের ওপর পুলিশ গুলি ও লাঠি চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল বলে জানান মমতা। তবে ২১শে জুলাই কমিশনের রিপোর্টে সেই সব গ্রেফতারি পরোয়ানা তুলে নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে। সেই সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে এদিনের সভামঞ্চ থেকে সেই ঘোষণাই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১শে জুলাইয়ের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আগেই চাকরির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এবার একুশে জুলাই কমিশনের সুপারিশ মেনে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
একুশে জুলাই ১৯৯৩ সালে যে পুলিশকর্মীরা গুলি চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে সেই প্রশ্নও তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী। তবে রাজনৈতিক সৌজন্যের কারণেই প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ছাড় দেওয়া হল বলে মন্তব্য করেছেন মমতা।