অখিলেশকে কনগ্র্যাচুলেশন জানিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করার ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মমতা
দুঃসময়ে পাশে থাকার বার্তা পাঠিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যুদ্ধ জয়ের পর তাঁর থেকে শুভেচ্ছা আসবে না, তা হয় নাকি। অখিলেশ যাদব বাবাকে হারিয়ে সাইকেল প্রতীক লাভ করতেই টুইটারে উড়ে এল মমতার শুভেচ্ছা।
কলকাতা, ১৭ জানুয়ারি : দুঃসময়ে পাশে থাকার বার্তা পাঠিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যুদ্ধ জয়ের পর তাঁর থেকে শুভেচ্ছা আসবে না, তা হয় নাকি। অখিলেশ যাদব বাবাকে হারিয়ে সাইকেল প্রতীক লাভ করতেই টুইটারে উড়ে এল মমতার শুভেচ্ছা। মমতা জানালেন, 'প্রতীক পাওয়ার জন্য কনগ্র্যাচুলেশন অখিলেশ, আপনি এটার যোগ্য।'
সামনেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন, তারপরই বেজে উঠবে লোকসভার দামামা। তার আগে জাতীয় স্তরে লড়াইয়ের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে তো? আর সব থেকে বড় কাজ, 'পয়লা নম্বর' শত্রু বিজেপিকে শায়েস্তা করা। সেই কারণে ঐক্যবদ্ধতার ছাপ রাখতে হবে জাতীয় রাজনীতিতে। তাই আগেভাগে অখিলেশকে দিয়ে রাখলেন সুসম্পর্কের বার্তা।
সমাজবাদী পার্টির রাশ অখিলেশের হাতে থাকছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেসের তরফেও অভিনন্দন বার্তা পাঠানো হয়েছে। ফলে পরবর্তী লোকসভা ভোটের আগে ফেডারেল ফ্রন্টের প্রাসঙ্গিকতা আবার বাড়িয়ে তুলতে হবে। সেই কারণেই সমাজবাদীর পার্টির মতো বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন জরুরি।
মুলায়ম সিং যখন অখিলেশকে দল থেকে বের করে দিলেন, তখন পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেঙে না পড়ে যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার রসদ জুগিয়েছিল পাশের থাকার সেই আশ্বাস। এখন দান বদলে গিয়েছে। মাত্র কয়েকটা দিনের মধ্যেই পাশার চাল উল্টে গিয়ে রাশ তাঁর হাতেই। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে সমাজাবাদী পার্টির প্রতীক সাইকেল পেয়েছেন অখিলেশ।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না। তাঁদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে সমাজবাদীর পার্টির দিকে। আরও স্পষ্ট করে বললে, তৃণমূলের সমর্থনের হাত থাকবে অখিলেশের মাথার উপর। এদিকে অখিলেশ সমাজবাদী পার্টির প্রতীক পাওয়ার পর কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের জোট স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ফলে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি একযোগেই এবার বিজেপি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে লড়বে।
রাজনৈতিক মহলে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে, কেন এত ঘটনা করে মমতা সমর্থনের হাত এগিয়ে দিচ্ছেন অখিলেশ যাদবের দিকে। আসলে পুরোটাই বিজেপিকে ব্যাকফুটে পাঠানোর একটা কৌশল। প্রথম নোটকাণ্ডে সমাজবাদী পার্টির এই নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন। সেই কৃতজ্ঞতা তো আচেই, সেইসঙ্গে বিজেপিকে চাপে ফেলতে বিজেপি বিরোধী ঐক্য অটুট রাখারও একটা প্রয়াস বলা যেতেই পারে।
কংগ্রেসের সঙ্গে সমাদজবাদী পার্টির জোট প্রায় চূড়ান্ত। তা থেকে বলা যায়, রাজ্যে তৃণমূল-কংগ্রেস বৈরীতা থাকলেও, জাতীয় স্তরে বিশেষ করে দিল্লির রাজনীতিতে যে ভবিষ্যতে ফের তারা জোট করে লড়তে পারে, তারও একটা সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে সাম্প্রতিক নানা ঘটনাপঞ্জীতে। বিজেপিকে কোণঠাসা করতে দিল্লিতে এই দুই দলকে যে তৃণমূলের দরকার, তা এখন জলের মতো স্বচ্ছ। সেইমতোই নরেন্দ্র-অমিত শাহ জুটির বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মমতা-মকুলরা।
Congratulations @yadavakhilesh for getting SP symbol. You deserve it
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 16, 2017