সিপিএম-এর পর এবার মমতার টার্গেট বিজেপি, মোদীদের বিরুদ্ধে 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনে নামছে তৃণমূল
বিজেপির বিরুদ্ধে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৯ থেকে ৩০শে অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চলবে আন্দোলন কর্মসূচি।
স্বাধীনতার আগে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। স্বাধীনতার ৭০তম বর্ষপূর্তির ঠিক আগে এবার আরও এক ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক । এবার বিজেপির বিরুদ্ধে ভারত ছা়ড়ো আন্দোলনের ডাক দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এই আন্দোলনের ডাক দিলেন তিনি। আগামী ৯ই আগস্ট থেকে ৩০শে অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে এই আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:বিজেপি ভারত ছাড়ো, ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা মঞ্চ থেকে ডাক মমতার ]
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে থেকে প্রথম বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনে- দিনে তাঁর আক্রমণের ধার বেড়েছে। কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর তা সম্মুখ সমরের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। শুক্রবার ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চেও আগাগোড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন মমতা। তবে এবার আরও একধাপ এগিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী। ঠিক একই কায়দায় ১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাইয়ের পরও এভাবে সিপিএম হঠাও অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার দু'দশক পরে একই কায়দায় বিজেপির বিরুদ্ধে অল-আউট আক্রমণে মমতা। শহিদ সমাবেশে হাজির হওয়া কয়েক লক্ষ মানুষের সামনে অঙ্গীকার করলেন মোদী- অমিত শাহদের দেশছাড়া করার।
৯ই অগাস্ট থেকে বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়ানোর ডাক দিয়েছেন মমতা। ৩০ শে অগাস্ট পর্যন্ত এই আন্দোলন কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে । আন্দোলন কর্মসূচিতে নানুর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই সহ গোটা রাজ্যের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আগামী বছর ২১শে জুলাইকে অঙ্গীকার দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ২০১৯ শে আর ক্ষমতায় থাকবে না বলেও দাবি করেন । সিপিএম- কংগ্রেস নয়, বিজেপিই যে রাজ্যে এই মুহূর্তে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ এদিন তাঁর বক্তব্যে তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন তাঁর বক্তব্য়ের নিশানায় কংগ্রেস এবং সিপিএম সেভাবে গুরুত্বই পায়নি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর বক্তব্য জুড়ে রয়ে গেল বিজেপি ও মোদী সরকার।