‘যা করার প্রশাসন করবে, অন্য কেউ যেন হম্বিতম্বি না করেন’, মদনের সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী
নাম না করে অ্যাপোলো নিয়ে মদন মিত্রের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কালীঘাটে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে সরব হলেন তিনি।
কলকাতা, ১ মার্চ : নাম না করে অ্যাপোলো নিয়ে মদন মিত্রের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কালীঘাটে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে সরব হলেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যা করার প্রশাসন করবে, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি নেব। অন্য কারও হম্বিতম্বি করার দরকার নেই।
উল্লেখ্য, ডানকুনির বাসিন্দা সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর পিছনে অ্যাপোলোর গাফিলতি ও বিল বৃদ্ধির অভিযোগ ওঠার পর হঠাৎ উদয় হয়ে মদন মিত্র হুঁশিয়ারি দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তিনি বলেন, অ্যাপোলোর হাসপাতালকে শ্মশান তৈরি করেছে বলে অভিযোগ তুলে অবিলম্বে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সেইমতোই অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ সমস্ত টাকা সঞ্জয় রায়ের পরিবারকে ফেরত দিতে সম্মত হন। যদিও সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন সঞ্জয়ের স্ত্রী রুবিদেবী।
কিন্তু প্রাক্তন তৃণমূলী মন্ত্রী সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত মদন মিত্রের এই ভূমিকা ভালো চোখে দেখেননি দলনেত্রী। হিতে বিপরীত হতে পারে ভেবে আর পরদিন ডানকুনিতে সঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাননি তিনি। এদিন কালীঘাটে কোর কমিটির বৈঠকে মদন মিত্রের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি উষ্মা প্রকাশ করে জানান, অন্য কেউ যেন এ সব ব্যাপারে হম্বিতম্বি না করেন। কেননা হাসপাতালে ভুল বার্তা যাবে এই ধরনের আচরণে।
এদিন কোর কমিটির বৈঠকে রাজ্যসভা ও দক্ষিণ কাঁথির টিকিট চূড়ান্ত করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জেলার সংগঠনে অদলবদল করেন দলনেত্রী। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করা হয় সৌরভ চক্রবর্তীকে। তাঁর বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোহন শর্মাকে। এছাড়া সাংসদ মুকুল রায়কে ত্রিপুরা ও মণিপুর তৃণমূলের দায়িত্ব অর্পণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।