পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে মমতাকে চিঠি জিএনএলএফের, ২৯শে বৈঠক নবান্নে
সরকার চায় শান্তি ফিরুক পাহাড়ে। যাঁরা পাহাড়ে শান্তির পক্ষে, তাঁদের স্বাগত। নাম না করে এই বার্তায় মোর্চাকেও ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল জিএনএলএফ। পাহাড়ের আন্দোলনে মোর্চার সহযোগী জিএনএলএফের সেই আবেদনে সাড়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, সরকার চায় শান্তি ফিরুক পাহাড়ে। যাঁরা পাহাড়ে শান্তির পক্ষে, তাঁদের স্বাগত। নাম না করে এই বার্তায় মোর্চাকেও ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার নবান্নে জিএনএলএফের চিঠি দেখিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দায় চাপিয়েই ক্ষান্ত নন, বন্যা মোকাবিলায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন মমতা ]
শুধু সন্তোষ প্রকাশ করেই ক্ষান্ত নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই মর্মে একটি জরুরি বৈঠকও ডেকেছেন। ২৯ আগস্ট নবান্নে পাহাড় ইস্যুতে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত বড় দলকে এই বৈঠকে ডাকা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এই বৈঠকে পাহাড়ের সমস্ত বোর্ডকে ডাকা হবে। ডাকা হতে পারে জিএনএলএফকেও। এমনকী তিনি আবেদন জানান, যাঁরা পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর পক্ষে, তারা আসতে পারেন এই বৈঠকে।
রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই পাহাড়ের ভালো চেয়ে এসেছে। উন্নয়নমূলক কাজের পক্ষে সহমত পোষণ করে এসেছে। কিন্ত্র কোনও কোনও পক্ষ তার বিরোধিতা করে জলঘোলা করেছে। এই জিএনএলএফও পাহাড়ের আন্দোলনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে ছিল প্রথম থেকে। কিন্তু দেরিতে হলেও তারা বুঝেছে, ওটা শান্তির পথ নয়। তারা শান্তি ফেরানোর পক্ষে চিঠিও দিয়েছে।
পাহাড়ের অন্যদলগুলিও যদি সহমত পোষণ করে, তাদেরও স্বাগত জানানো হচ্ছে শান্তি বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পাহাড়ের পরিস্থিতি। দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মিরিকের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে। পাহাড়ের দলগুলি যদি আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসে তাহলে শান্তি ফেরানো আরও সহজ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ৮ জুন থেকে পাহাড়ের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতে শুরু করে। ভাঙচুর, আগুন, সংঘর্ষ লাঠিচার্জ, ভারী বুটের শব্দে প্রাণচঞ্চল পাহাড় হয়ে ওঠে নিস্তব্ধ-নিঃঝুম। হিংসাশ্রয়ী আন্দোলন লেগেই ছিল, প্রাণহানিও ঘটেছে, তারপরই শুনশান অবস্থা পাহাড়ে। সেই পরিস্থিতি থেকে পাহাড়কে মুক্তি দেওয়ার মতো এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। জিএনএলএফের চিঠির পর মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা সেই শান্তির দুয়ার খুলে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।