পাহাড় নিয়ে রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রের কোর্টে কি বল ঠেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মঙ্গলবারই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান কেশরীনাথ ত্রিপাঠী আলোচনার মাধ্যমে পাহাড় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যকে। আর তারপরের দিনই রাজ্যপালের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি পাহাড় নিয়ে রাজ্যপালকে মৌখিক রিপোর্ট দেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা চলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে রাজ্যের কাছে পাহাড় নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে তাও রাজ্যপালকে জানান মমতা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত এই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
জিটিএ নির্বাচন আর মাস খানেক দূরে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ-র হিসেব চেয়ে পাঠানোয় ক্ষেপে গিয়েছেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। তিনি পাহাড়ে জঙ্গি আন্দোলন শুরু করেছেন। পাহাড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে চেয়েছেন। কিন্তু, রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রধান হয়ে মুখ্যমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলার বেড়াতেই মোর্চার মোকাবিলা করেছেন। পাহাড়ে যখন-তখন পর্যটক তাড়িয়ে আন্দোলন যে বরদাস্ত করা হবে না তা বিমল গুরুং-দের উদ্দেশে জানিয়েও এসেছেন তিনি।
এখন পাহাড় কবে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হবে, তা নিয়েই উঠে পড়েছে প্রশ্ন। মোর্চার তরফে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবারই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান কেশরীনাথ ত্রিপাঠী আলোচনার মাধ্যমে পাহাড় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য কি নমনীয় হবে?
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় পরিস্থিতি এবং মোর্চার ভূমিকা ও তাঁদের অবস্থান নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন রাজ্যপালকে। জিটিএ অডিটের কাজ চলছে জোরকদমে। জিটিএ-র পর দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং পুরসভার গত পাঁচ বছরের আর্থিক লেনদেন নিয়েও স্পেশাল অডিটের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে পুলিশ মহলেও বড়সড় রদবদল করা হয়েছে। ফলে পাহাড়ে মোর্চার গুণ্ডাগিরি রুখতে আদৌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নমনীয় হয়ে ফের আলোচনার রাস্তায় হাঁটবেন কি না, তা এখনইজোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।