#Note Ban : এবার রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ ঠুকতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা
নোট বাতিলের ফলে মানুষের হয়রানির ঘটনা জানাতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা, ১৩ নভেম্বর : কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বিপর্যয়, কালা কানুন বলে ঘোষণা করেছেন আগেই। নিজে ঘুরে ঘুরে শহরের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক-এটিএমের সামনে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার এই একই নোট বাতিলের ফলে মানুষের হয়রানির ঘটনা জানাতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সারা দেশে #Note Ban নিয়ে কী জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জেনে নিন
নোট বাতিল হবে, ৬ মাস আগে জানিয়েছিল গুজরাতের সংবাদপত্র!
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজে টুইট করে জানান, মানুষের দুর্ভোগের কথা তিনি টেলিফোনে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি সামনাসামনি দেখা করার জন্য সময়ও চেয়ে নিয়েছেন। আগামী ১৬ অথবা ১৭ তারিখ দিল্লিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা।
এর আগে নোট বাতিল ইস্যুতে কংগ্রেস, সিপিএম, সপা, বসপা সহ সমস্ত বিরোধী দসগুলিকে একজোট হয়ে লড়ার ডাক দেন মমতা। সূত্রের খবর, এদিন তিনি সিপিএম সম্পাদক প্রকাশ কারাটকে ফোন করে এই ইস্যুতে একজোট হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করার কথা বলেন। [কীভাবে কালো টাকা ধরতে 'সিক্রেট অপারেশন' চালিয়েছেন, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী]
The Hon President was kind enough to take my call now. I briefed him about how common people are suffering because of demonetization... 1/2
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) 13 November 2016
I thank him for agreeing to meet reps of political parties on Nov 16 or 17 where we will brief him in detail on the grim situation 2/2
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) 13 November 2016
জানা গিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া সফরে যাওয়ার কথা ছিল। আপাতত সেই সফর বাতিল করা হয়েছে। দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পরে ফিরে এসে তিনি জেলা সফরে যেতে পারেন। [বাজারে আসতে না আসতেই জাল করা শুরু ২ হাজারের নোট?]
গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রের ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট হঠাৎ করে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই মুখর হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একধাপ এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দেশকে বাঁচাতে প্রবল প্রতিপক্ষ সিপিএমের হাত ধরে একসঙ্গে কাজ করতেও রাজি তিনি। দেশ বাঁচাতে সিপিএম, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে কাজ করে দেশকে বাঁচাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই, স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।