রাজ্যের সবথেকে বড় কালো টাকার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : অধীর
চাঁছাছোলা ভাষায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আক্রমণ, ‘রাজ্যের সবথেকে বড় কালো টাকার মালিকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ একেবারে ব্যক্তিগত আক্রমণের রাস্তায় হেঁটে তিনি বললেন, ‘তাঁর শাড়ির রং-টাই শুধ
কলকাতা, ১৫ নভেম্বর : বিজেপি আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারদা-নারদের 'মালিক' বলে আখ্যায়িত করেছে। এবার চাঁছাছোলা ভাষায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আক্রমণ, 'রাজ্যের সবথেকে বড় কালো টাকার মালিকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' একেবারে ব্যক্তিগত আক্রমণের রাস্তায় হেঁটে তিনি বললেন, 'তাঁর শাড়ির রং-টাই শুধু সাদা। এছাড়া তাঁর কাছে যা কিছু আছে, সবই কালো। এখন বিপদে পড়ে কংগ্রেসের সাহায্য চাইছেন তিনি।'
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিলের পর সবথেকে বেশি সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলকে এক মঞ্চে এনে প্রতিবাদে সামিল হতে দিল্লিও পাড়ি দিয়েছেন। এই বিরোধী মঞ্চে তিনি কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, রাজ্যের শাসকদলের অধিকাংশ নেতার কাছেই প্রচুর পরিমাণে কালো টাকা রয়েছে। তাই তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবেই কোনও প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সামিল হবে না। প্রতিবাদের ওই ভাবনা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব। এর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও মিল নেই। আমরাও সাধারণ মানুষের এই নাজহাল অবস্থায় তাঁদের পাশে আছি। আমাদের প্রতিবাদ হবে ভিন্ন।
অধীরবাবু আরও বলেন, এই বাংলায় সারদা ও নারদের কালো টাকার মালিক এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কখনও তদন্ত হয় না। সারদা বা নারদ তদন্ত চলছে খেয়াল-খুশিমতো। কখনও তদন্ত হচ্ছে, আবার কখনও থমকে যাচ্ছে। কারণ, দিদিভাই-মোদিভাইয়ের কখনও ভাব, আবার কখনও আড়ি। এই গোপান আঁতাতের জন্যই সারদা বা নারদের অর্থ কেলেঙ্কারির কোনও সুরাহা হল না।
অধীরবাবুর কথায়, সারা বাংলাজুড়েই তৃণমূল কালো টাকার পাহাড় বানিয়েছে। শুধু কি সারদা-নারদের কালো টাকা? সিন্ডিকেট, বালি খাদান, কয়লা খনির কালো টাকা- সবই তো মজুত রয়েছে তৃণমূলের ঘরে। রাজ্যের বহু তৃণমূল নেতার হাতে এইসব কালো টাকা রয়েছে। তৃণমূলের সর্বময় নেত্রীও জানেন এইসব কালো টাকার উৎস। আর তাঁর দল যে এতে প্রভূত লাভবান হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অধীরবাবুর অভিযোগ, এই যে বিভিন্ন জায়গায় দলে ভাঙন ধরানো হচ্ছে, তার পিছনেও রয়েছে এই কালো টাকার হাতছানি।