গুরুংয়ের গ্রেফতারি হোক বা বৈঠকে মোর্চাকে আহ্বান, পাহাড়ে শান্তি ফেরানোই উদ্দেশ্য
একদিকে বিমল গুরুংকে গ্রেফতারির ফরমান, অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নাম না করেই পাহাড় নিয়ে গুরুংদের শান্তি বৈঠকে আহ্বান। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে দু-জাতীয় প্রক্রিয়াই বজায় রাখল রাজ্য সরকার।
একদিকে বিমল গুরুংকে গ্রেফতারির ফরমান, অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নাম না করেই পাহাড় নিয়ে গুরুংদের শান্তি বৈঠকে আহ্বান। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে দু-জাতীয় প্রক্রিয়াই বজায় রাখল রাজ্য সরকার। যে কোনও মূল্যে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোই এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উদ্দেশ্য।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বিস্ফোরণের পর বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চলছে। যে কোনও মূহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। এরই মধ্যে জিএনএলএফের চিঠি হাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক এসে পাহাড়ে শান্তি স্থাপনে মোর্চাকেও আহ্বান জানালেন।
শনিবার ও রবিবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পাহাড়ে দু-দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-সহ পাঁচ মোর্চা নেতার নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। গুরুংদের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে ইউএপিএ অর্থাৎ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও। এই অবস্থায় অসম্ভব চাপে মোর্চা শিবির।
বিমল গুরুংদের জালে পোরার সমস্ত রাস্তা পরিষ্কার করে রেখেছে পুলিশ। তাহলেই পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর পথ সহজ হবে। রাজ্য প্রশাসনও তাঁদের মিশনে জয়যুক্ত হবে। রাজ্য যে কোনও মূল্যে যুদ্ধ জিততে চাইছে- এই ধারণা ভুল প্রমাণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন মোর্চা আলোচনায় আসতে চাইলে, তাঁদের পথ খোলা।
উল্লেখ্য, সোমবারই মোর্চার তরফ থেকে পাহাড় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয় রাজ্যের কাছে। চাপে পড়েই মোর্চা নেতৃত্ব সন্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন বলে মত প্রশাসনের। আর কোনও দিকে পালানোর উপায় নেই গুরুংদের। তাই আলোচনার রাস্তায় আসার মত প্রকাশ। পক্ষান্তরে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, এতদিন বারবার আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে, তবু মোর্চা সেই পথ মাড়ায়নি। এবার চাপ পড়তেই মোর্চা আলোচনার বসার ইচ্ছা প্রকাশ করল। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিতে আরও পরিষ্কার হয়ে গেল পাহাড়ে আলোচনার সম্ভাবনা।