কংগ্রেস এখন তৃণমূলের ভাই! হঠাৎ এমন ভাব দেখাচ্ছেন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কংগ্রেস আর শত্রু নয় মিত্র। দলীয় কোর কমিটির বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলের কোর কমিটির বৈঠকে মোদী বিরোধী শক্তিকে এক জোট করার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে রাজ্যে কংগ্রেসের ব্যাপারেও নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দেন দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, এ রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি সে অর্থে নেই ঠিকই। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী শক্তি। তাঁদের সঙ্গে চলতে গেলে রাজ্যে কংগ্রেসের প্রতি নমনীয় হতে হবে। সেই পরামর্শ তিনি দিয়েছেন দলের শীর্ষ থেকে ব্লকস্তরের নেতাদের।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও দল এই অবস্থান নিয়েই লড়াই করবে। বিজেপি বিরোধী অবস্থান নিয়ে মোদী বিরোধী জোটকে এক মঞ্চে আসার বার্তা দেবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তার ফলে জাতীয় রাজনীতিতে যে পট পরিবর্তন আসতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিতই। সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি থেকে ফিরে এসেছেন। ফের সামনের সপ্তাহে তিনি সনিয়ার ডাকে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে উপলক্ষ করে জাতীয় রাজনীতিতে যে বিকল্প মঞ্চের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মোদী বিরোধী শক্তিকে এক করার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি কোর কমিটির বৈঠকে মমতা পাখির চোখ করেছেন পঞ্চায়েত ভোটকেই। সেই কারণে বুথভিত্তিক সংগঠনে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দলনেত্রী। দলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার। সেই কারণে ২৭ মে থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত তিনি রাজনৈতিক সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই এক মাসের মধ্যে জেলায় জেলায় রাজনৈতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে।
প্রতিটি জেলা কমিটিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ব্লক স্তরে সম্মলেন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েতের প্রস্তুতিতে এভাবেই এগোতে নির্দেশও দিয়েছেন। ২১ জুলাই কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে কলকাতায়। তার আগে ব্লকে ব্লকে দলের সংগঠন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এর পাশাপাশি বিধায়কদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোদী সরকার সাধারণ নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসতে পারে।
সেক্ষেত্রে হয়তো ২০১৯ সালের পরিবর্তে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা ভোট একইসঙ্গে হতে পারে বলেও মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই সাধারণ নির্বাচনের দেরি আছে বলে ঘুমিয়ে থাকলে হবে না। এখন থেকেই ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।
{promotion-urls}