অগ্নিকাণ্ডের পর স্টিফেন কোর্টে বেআইনি নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন পরশমল লোধা
স্টিফেন কোর্টে বেআইনি নির্মাণ করার চেষ্টা করেছিলেন পরশমল লোধা। এই মর্মে তিনি স্টিফেন কোর্টের ট্রাস্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর : স্টিফেন কোর্টে বেআইনি নির্মাণ করার চেষ্টা করেছিলেন পরশমল লোধা। এই মর্মে তিনি স্টিফেন কোর্টের ট্রাস্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। দিয়েছিলেন প্রোমোটিংয়ের প্রস্তাবও। অগ্নিকাণ্ডের পর স্টিফেন কোর্টের ছয় ও সাত তলায় তিনি বেআইনি নির্মাণও করেন। তৎকালীন বাম সরকারের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগও রয়েছে। ২০১০ সালে এই অভিযোগ উঠলেও বাম সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এহেন বিতর্কিত এক চরিত্র পরশমল লোধা নোট বাতিলের পর কালো টাকা সাদা করার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে ২৫ কোটি কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ ওঠে। ইডি-র নজরে প্রথম থেকেই ছিলেন তিনি।
সেই কারণেই আগে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁকে নাগালে পাননি ইডি আধিকারিকরা। তবে পিছু হটেননি তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে তামিলনাড়ুর মুখ্য সচিবকে জেরা করেও তাঁর নাম পেয়ে যান তদন্তকারীরা।
ক্রমশই জাল গুটিয়ে আনছিলেন তাঁরা। কলকাতার প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দেওয়ার পর তাঁরা ট্র্যাক করেছিলেন মুম্বইয়ে পালিয়েছেন লোধা। তিনি যে মালয়েশিয়া পালানোর ছক কষেছেন, তা বুঝতে পেরেই বিমানবন্দরে ফাঁদ পাতে ইডি। সেই ফাঁদে পা দিয়েই ইডি জালে ধরা পড়ে যান কলকাতার নামী ব্যবসায়ী।
বালিগঞ্জের কুইন্স পার্কে প্রাসাদোপম বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লোধার বাড়ির নিচে রয়েছে মিউজিয়াম। দু'মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে বেশিরভাগ সময় তিনি কলকাতার বাইরেই থাকতেন। বাড়িতে থাকতেন কেয়ারটেকাররা। গত মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তখন তাঁর নাগাল পাওয়া সম্ভব হয়নি তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের পক্ষে। তারপরই মুম্বই পালিয়ে যান পরশমল।