চিটফান্ডে তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে ফেব্রুয়ারিতে নবান্ন অভিযানের ডাক বামফ্রন্টের
কোনও আন্দোলনই গুরুত্ব পায়নি তাঁদের। রাজ্যের শাসক শিবির তাঁদের আর পাত্তাই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য ফেব্রুয়ারিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিল বামফ্রন্ট।
কলকাতা, ৯ জানুয়ারি : আবারও নবান্ন অভিযানকে হাতিয়ার করছে বামেরা। এর আগে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা বড় বড় ইস্যুকে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলার লাল ব্রিগেড। তাঁদের শেষ সফল আন্দোলন কর্মসূচি বলতে ছিল নবান্ন অভিযান। তারপর থেকেই শুধু ঝিমিয়ে পড়া একটা দলে পরিণত হয়েছে লাল পার্টি। তাই আবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে নিজেদের সংগঠনকে চাঙ্গা করে নিতে চাইছে বাম শিবির।
নোটকাণ্ডের প্রতিবাদে বনধ ঢেকে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বামফ্রন্ট। তারপর থেকেই আর কোনও আন্দোলনই গুরুত্ব পায়নি তাঁদের। রাজ্যের শাসক শিবির তাঁদের আর পাত্তাই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য ফেব্রুয়ারিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিল বামফ্রন্ট। তবে ঠিক কোন ইস্যুতে এই আন্দোলন হবে তা এখনও স্থির করতে পারেনি বাম শিবির। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তো নয়ই, এমনকী কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও ডাহা ফেল সিপিএম তথা বামফ্রন্ট।
যে কর্মসূচি সবার আগে নেওয়ার কথা ছিল বামফ্রন্টের, তা হরণ করে নিয়েছে তৃণমূল। নোট বাতিলের প্রতিবাদে গোটা দেশে এখন মুখ মমতাই। এদিকে রাজ্যে ইতিমধ্যে শিশু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সামনে এসেছে। সেই মহার্ঘ ইস্যুকেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ বামেরা। তারপর এখন চিটফান্ড ইস্যুতে আবার তোলপাড় বাংলা। আবারও শাসক শিবির এই চিটফান্ড দুর্নীতিতে বেকায়দায়। এবার সুযোগ কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বামফ্রন্ট।
এর আগে সারদা মামলায় তৃণমূল-যোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে বামফ্রন্ট। আর্থিক কেলেঙ্কারির এমন অনেক ইস্যুকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে বামেরা। কেন এমন হচ্ছে? কেন কোনও আন্দোলন দানা বাঁধছে না বামফ্রন্টের। তা এবার নিজেরাই পরখ করতে নামছে বাম শিবির। সেই কারণেই ফেব্রুয়ারিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন রাজ্য বামফ্রন্ট।
তার আগে নিজেদের শক্তি দেখে নিতে কলকাতায় এক সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম আগামী ১৮ জানুয়ারি সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে। জেলায় জেলায় ছোট ছোট কর্মসূচিও করবে তারা। ২৮ নভেম্বরের বনধ-ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এগোতে চাইছে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট।