বাম-কংগ্রেস একযোগে অনাস্থা আনছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে
বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে নোটিশ জারি করল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।
কলকাতা, ১ ডিসেম্বর : বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে নোটিশ জারি করল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। একযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী জানিয়ে দিলেন আগামীকালই তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবেন। সেই মর্মে মঙ্গলবার নেটিশ জারি করল বাম ও কংগ্রেস।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র সাত মাস আগে বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট ল্যাজেগোবরে হয়েছে। তারাই আবার অনাস্থা প্রস্তাব আনছে প্রবল প্রতাপশালী সরকারের বিরুদ্ধে। শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। আসলে অনাস্থায় জয়টা এবার মুখ্য নয় কংগ্রেসের কাছে। সরকার গঠনের পর জেলায় জেলায় তৃণমূল দল ভাঙানোর যে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে, তা নিয়েই সবক শেখাতে চাইছে কংগ্রেস-বামসহ বিরোধী শিবির।
শিশু
পাচারের
বিশাল
জাল
রাজ্যে
ছড়িয়ে
পড়ায়,
রাজ্য
সরকার
যে
ব্যর্থ,
তা
তুলে
ধরেই
এই
অনাস্থা
আনা
হচ্ছে।
শীতকালীন
অধিবেশনে
বিরোধীরা
সরকারকে
বিপাকে
ফেলতে
আগে
থেকেই
এই
ঘুঁটি
সাজিয়ে
রেখেছিল
কংগ্রেস
ও
বামেরা।
নোট
বিতর্ককে
উত্থাপন
করে
এবং
শিশু
পাচারকাণ্ডে
বিরোধীদের
গুরুত্ব
দিয়ে
কমিটি
গঠন
করে
বিরোধীদের
পালের
হাওয়া
কেড়ে
নিয়েছিল
তৃণমূল।
বিজেপি
বিরোধী
ঐক্য
ফুটে
উঠেছিল
রাজ্য
বিধানসভায়।
এবার
তা
থেকে
বেরিয়ে
আসতেই
ফের
অনাস্থা-তির
ছাড়তে
চাইছে
কংগ্রেস
ও
বামফ্রন্ট।
এদিকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর শুধু দল ভাঙানোর খেলায় মেতেছে শাসক দল। গণতন্ত্রের বালাই নেই। এমন অনেক বোর্ড রয়েছে, যেখানে তৃণমূলের কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিই ছিল না, সেই বোর্ডও দখল করে নিয়েছে তৃণমূল।
অর্থাৎ নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পূর্ণ ভূলুণ্ঠিত এ রাজ্যে। তৃণমূলের এই স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ। উল্লেখ্য, মানস ভুঁইয়া-সহ একাধিক বিধায়ক দলত্যাগ করেও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেনি। একটার পর একটা জেলা পরিষদ, পুরসভা, পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। দলবদলের হিড়িক চলছে। অনৈতিক এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কংগ্রেস বিধানসভায় মুখর হতে চাইছে। তাই বামেদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হচ্ছে কংগ্রেস।