তিন শর্তে জামিন, কালই বাড়ি ফিরছেন কুণাল
কলকাতা, ৫ অক্টেবর : আগের দিনই আভাস পাওয়া গিয়েছিল বিচারপতির ভাষ্যে। বিচারপতি অসীমকুমার রায় কুণাল ঘোষকে জামিন দিতে শর্ত আরোপ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআই আইনজীবীদের। সেইমতো বুধবার তিন শর্ত আরোপ করেছিল সিবিআই। সেই তিন শর্তাধীনে দু'লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয়ে গেল কুণাল ঘোষের। [অবশেষে জামিন, ৩৪ মাস পর মুক্ত কুণাল ঘোষ]
তবে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে আজই তাঁর জেল থেকে বাড়ি ফেরা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আগামীকালই নারকেলডাঙার বাড়িতে ফিরবেন তিনি। অসুস্থ মাকে দেখতে পাবেন। পুজোর আগে তাঁর জামিনে পরিবারেও খুশির আমেজ।
এদিন কুণাল ঘোষের জামিনের শর্ত আরোপ করা হয়। এক, নারকেল ডাঙ্গা থানা এলাকায় তাঁর বাড়ি। ওই থানা এলাকার বাইরে তিনি যেতে পারবেন না। দুই, সপ্তাহে একদিন সিবিআই দফতরে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তিন, তাঁর পাসপোর্ট সিবিআই দফতরে জমা রাখতে হবে।
এই তিন শর্ত ছাড়াও তাঁর জামিনের পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা নিয়েছে জেল-অঙ্কের পাটিগণিতই। কারণ দোষীসাব্যস্ত না হয়েও সাজার থেকে বেশি জেল খাটা হয়ে গিয়েছে কুণাল ঘোষের। সিবিআই-এর এখনও কেন হেফাজতের দরকার হচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তাই আইনি প্যাঁচেই জামিন দেওয়া ছাড়া আদালতের কাছে আর কোনও রাস্তা ছিল না। তারপর সিবিআই যে এই মামলায় নিষ্ক্রিয়, তাও বিচারপতিদের করা প্রশ্নবানের মুখে তাঁদের আইনজীবীদের মৌনতায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিকে কুণাল ঘোষের মা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। সেই বিষয়টিও মানবিকতা দিয়ে বিচার করেছে আদালত। তাই জামিন দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না আদালতের।
তবে জামিন পেলেও এদিনই তাঁর জেলমুক্তি ঘটছে না। কারণ সার্টিফায়েড কপি জেল কর্তৃপক্ষের হাতে যাওয়া এবং অন্যান্য কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সময় লেগে যাবে। গড়িয়ে যাবে রাত্রি। তাই তাঁর মুক্তির অপেক্ষা আরও একটা দিনের।