পণ্ডিতিয়া প্লেসের দুর্ঘটনায় গ্রেফতার বরুণ মাহেশ্বরী, প্রেমিকা রেবেকার খোঁজে গোয়েন্দারা
কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর : হাজরার পণ্ডিতিয়া প্লেসের দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত বরুণ মাহেশ্বরীকে অবশেষে গ্রেফতার করতে সমর্থ হলেন গোয়েন্দারা। বুধবার এক আত্মীয়ের মোবাইলের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় বরুণকে। তার প্রেমিকা রেবেকার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বরুণের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এদিনই
আলিপুর
আদালতে
আগাম
জামিনের
আবেদন
করেছিলেন
বরুণ
মাহেশ্বরী।
কিন্তু
শেষ
রক্ষা
হল
না।
সেই
মামলা
শুনানির
আগেই
গোয়েন্দা
পুলিশ
তাকে
গ্রেফতার
করল।
উল্লেখ্য,
শনিবার
গভীর
রাতে
বেপরোয়া
বেগে
একটি
মার্সিডিজ
গাড়ি
তিন
স্কুটার
আরোহীকে
ধাক্কা
মারে।
ঘটনাস্থলেই
মৃত্যু
হয়
অভিজিৎ
পাণ্ডের।
মিথিলেশ
রায়
ও
রামভরত
যাদব
গুরুতর
জখম
হন।
এরপরই
রবিবার
সকালে
ক্ষিপ্ত
হয়ে
ওঠা
এলাকাবাসী
ঘাতক
গাড়ির
চালকের
খোঁজে
স্থানীয়
একটি
অভিজাত
আবাসনে
হামলা
চালায়।
জনরোষের
শিকার
হয়
আবাসনের
৭৮টি
দামি
গাড়ি।
আবাসনটিতেও
যথেচ্ছ
ভাঙচুর
চালানো
হয়।
আবাসনে হামলার তদন্ত শুরু করে লেক থানার পুলিশ। অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তদন্ত করছে কলকাতা ট্রাফিক গার্ডের ফেটাল স্কোয়াড। লেক থানার পুলিশ আবাসনে হামলার ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হলেও কলকাতা ট্রাফিক ফেটাল স্কোয়াডের গোয়েন্দারা ঘাতক মার্সিডিজের চালক বা মালিক কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে গাড়ির মালিককে চিহ্নিত করে ফেলেন গোয়েন্দারা।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত বরুণ মাহেশ্বরী। প্রথমে কিছুক্ষণ তাঁর মোবাইল ফোন খোলা ছিল। তখনই টাওয়ার লোকেশনে জানা যায়, বরুণ মাহেশ্বরী হাওড়ার কোনও একটি জায়গায় রয়েছে। তারপরই সুইচড অফ হয়ে যায় মোবাইলটি। পরে তার এক আত্মীয়ের মোবাইলের সূত্র ধরে বরুণকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। বরুণকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে। এখন বরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন গাড়িতে সেদিন কে কে ছিল। কে গাড়ি ড্রাইভিং করছিল।