শহরের দোকানে ফুরোচ্ছে মদের স্টক, সপ্তাহান্ত 'ড্রাই' থাকার সম্ভাবনা, কেন জেনে নিন
কলকাতায়, পানের অভ্যেস যাঁদের রয়েছে, তাঁদের এই সপ্তহান্ত কাটতে পারে শুকনোভাবে। কারণ, শহর ও শহরতলির বিভিন্ন অফ-শপ বা মদের দোকানে শেষ হতে চলেছে মদের স্টক।
কলকাতায়, পানের অভ্যেস যাঁদের রয়েছে, তাঁদের এই সপ্তহান্ত কাটতে পারে শুকনোভাবে। কারণ, শহর ও শহরতলির বিভিন্ন অফ-শপ বা মদের দোকানে শেষ হতে চলেছে বিদেশি মদের স্টক। এর নেপথ্যে রয়েছে ওয়েস্টবেঙ্গল ফরেন লিকার সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা বনধ্।
অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য ডাকা এই বনধ্-এর জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন দোকানে ফুরোতে চলেছে বিদেশি মদের স্টক। উল্লেখ্য, একসঙ্গে ২ থেকে ৩ দিনের বেশি, দোকানে মদের স্টক রাখেন না পাইকারি বিক্রেতারা। ফলে, এই সপ্তাহের শেষে মদের আর দেখা মিলবে না বলে খবর।
এরআগে রাজ্যে লিকার ডিস্ট্রিবিউটারশিপের ক্ষেত্রে পদার্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে গঠিত হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের জেরেই এই বনধ্। বিদেশি মদ বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত রিপ্রেসেন্টেটিভ ও পাইকারী বিক্রেতা, বা প্রাইভেট এজেন্সিগুলির আশঙ্কা, সরকার যদি এই ক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউশনের কাজে পদার্পণ করলে, প্রবল সমস্যায় পড়ত হতে পারে তাঁদের।
ফলে কাজ খুইয়ে বেকার হতে পারেন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৭০০ মানুষ। এদিকে, বনধ্-এর জেরে স্বাভাবতই ক্ষতির মুখ দেখতে চলেছেন রাজ্যের মদ বিক্রেতারা।
উল্লেখ্য, লিকার ডিট্রিবিউটারশিপ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি ঘোষণা করে রাজ্যসরকার। তার জেরে এই ক্ষেত্রে সরকার একচ্ছত্র ক্ষমতা দখল রাজ্য করতে পারে বলেও আশঙ্কা মদবিক্রয় সংক্রান্ত বহু অ্যাসোসিয়েশনের। প্রসঙ্গত, কলকাতায় সারা বছরে মদের যে পরিমাণ চাহিদা থাকে তার থেকে ২০ শতাংশ কম যোগান দেওয়া হয় অফ শপ বা মদের দোকানের তরফে। রাজ্যে বিদেশি মদ বিক্রয়ের ২৩০০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে।