ক্যান্সারের সঙ্গে মারণযুদ্ধ মেধাবী সহেলির, আপনার সাহায্য একান্ত প্রয়োজন!
কলকাতা, ১৫ জুলাই : উত্তরপাড়ার এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সহেলি। এককথায় মেধাবী ছাত্রী। উচ্চমাধ্যমিকে মেধাবী সেরা দশে জায়গা করে নেওয়া এবং ভবিষ্যতে জয়েন্ট্র এন্ট্রেন্স দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া, এইভাবেই নিজের স্বপ্নটা একেবারে গুছিয়ে নিয়েছিল সহেলি। কিন্তু একটা ঝড়েই স্বপ্নগুলো এভাবে এলোমেলো হয়ে যাবে দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি ছোট মেয়েটি।
কেমিস্ট্রি সহেলির অত্যন্ত পছন্দের বিষয়। পরীক্ষার জন্য খুব ভাল করে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেল সহেলি। কিন্তু পরীক্ষার মাঝেই আচমকা কোমরে ও হাতে পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু করল। পরীক্ষাটা দিতেই পারল না সে। পরে চিকিৎসকরা জানালেন 'বারকিটিস লিম্ফোমা' নামের এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সে।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সহেলি। বাবা তপন চক্রবর্তী পরিবহন সংস্থার কর্মী। মা বাড়ির কাজেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই সহেলিকে কখনও পড়াশোনার জন্য বলতে হয়নি। কারণ অন্য বাচ্চাদের মতো মা-বাবার ভয়ে নয়, ভালবেসেই পড়াশোনা করত সহেলি। বেলুড় গার্লস স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছিল সে এবার। কিন্তু দুরারোগ্য ব্যাধির জেরে তার পড়াশোনার জীবনে হঠাৎ একটা স্পিড বেকার।
চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন কেমোথেরাপির মাধ্যমেই সহেলির সুস্থ থাকার লড়াই চালাতে হবে। মাঝে মাঝে দিতে হবে রক্তও। এদিকে সহেলির রক্ত 'ও' নেগেটিভ গ্রুপের। যা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তপনবাবু। তবে সহেলীকে চিকিৎসকরা আশার আলো দেখিয়েছেন। বলেছেন, চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদী ও জটিল হলেও সহেলীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিবহন সংস্থার কর্মী তপনবাবু সবসময় সময়মতো বেতন পান না। অর্ধেক সময় কোম্পানিতে হরতাল ধর্না। কোনওমতে সংসারের খরচ চলে। বাড়িতে কারোর কাছে একটা মোবাইল ফোন পর্যন্ত নেই। এত কষ্টের মধ্যেও কোনওদিনও সহেলির পড়ালেখায় আঁচ আসতে দেননি তপনবাবু। কিন্তু এবার কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
কোনওভাবে ঋণ ও পরিচিতদের দানেই চলছে সহেলির চিকিৎসা। কিন্তু সহেলীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আরও অনেক অনেক টাকা। মেয়ের সামনে অতিকষ্টে এক মুখ হাসি ধরে রাখলেও সহেলীর মা একলা ঘরে ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। তাঁর আর্তি, "দয়া করে আমার মেয়েকে বাঁচান। ও সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে, কিন্তু আমাদের কাছে যে টাকা নেই। এই তিন মাসে ওর চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। আশার আলোটাও যেম ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। সহেলিও ক্রমেই ধৈর্য্য হারাচ্ছে। দয়া করে আমার মেয়েকে বাঁচান", চোখের জল বাঁধ মানছে না।
সহৃদয় মানুষেরা এগিয়ে এলে সহেলির চিকিৎসা সম্ভব হবে। একটা প্রাণ ও তার দুচোখ ভর্তি স্বপ্ন পূরণ করা যাবে। আর সেই আশাতেই প্রতিমুহূর্তে সাহায্য়ের প্রার্থনা করছেন সহেলির মা বাবা।
সহেলির
চিকিৎসায়
আর্থিক
সাহায্য
পাঠাতে
পারেন
এই
ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্টে।
নাম
-
তপন
কুমার
চক্রবর্তী
অ্যাকাউন্ট
নম্বর
-
০১৬৩০১০৪৪৫৮৯৪
আইএফসিএস
কোড
-
UTBI0UTT221